জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলায় সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। গোথা হাইস্কুল ছাড়া রাজ্যের আর কোন কোন স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক রয়েছেন, তা খুঁজে বার করতে বলা হয় সিআইডিকে। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় সিআইডি। বিভিন্ন জেলায় একাধিক ভুয়ো শিক্ষকের খোঁজ মেলে। সেই মামলারই শুনানি ছিল এদিন।
বিচারপতির ওই নির্দেশের পর রাজ্যের পোর্টালে তথ্য প্রকাশে কিছুটা সময় চায় রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক বলেন, ‘সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জোগাড় করতে অন্তত দু’মাস সময় লাগবে।’ কিন্তু এই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেন বিচারপতি বসু। বলেন, ‘এত ধীর গতিতে চললে হবে না। আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার থেকে পাঁচ বছর চাকরি করছেন, কিন্তু কোনও নিয়োগপত্রই নেই বলে তথ্য আসছে। আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছেন, সেটা সকলের জানা প্রয়োজন।’
এর পাশাপাশি, নির্বাচনের কারণে পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘দেশে প্রতি বছর দু’-তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে। ভুগতে হচ্ছে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের। নির্বাচনের জন্য কেন আলাদা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না?’ গত তিন-চারমাস স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুনেও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। একাধিক তদন্ত চলছে। এই আবহে আদালতের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হলে যাঁরা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।