আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কানাইলালবাবু। তাঁর ঘরে কাকা কালাচাঁদ ভট্টাচার্যের মূর্তি রয়েছে। বাবা শশধর ভট্টাচার্যের ছবি আছে দেওয়ালে। এঁরা ছিলেন পাঁচালি গানের পথিকৃত। তাঁর কাকা কানাই ভট্টাচার্য ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এই ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে শিল্পী কানাইলালের বিভিন্ন মানপত্র। গুণীজনদের সঙ্গে ছবি। ঘরের এক কোণে সযত্নে রাখা তিনটি তবলা। বয়স থাবা বসিয়েছে শরীরে। চোখেও কম দেখেন। কিন্তু তবলার তাল এখনও কাটে না। জয়নগরের অজিত ভট্টাচার্যের কাছে ১৩ বছর বয়সে ভর্তি হয়েছিলেন তবলা শিখতে। তারপর সাধনা থামেনি। কিংবদন্তী আরতি মুখোপাধ্যায়, অমরনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। অনিল বাগচির সান্নিধ্যে এসেছিলেন। কানাইবাবু বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সম্মান করে। তাঁদের দেওয়া সামান্য টাকা আর বার্ধক্যভাতার এক হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয়। ঘর সারানোর পয়সা নেই। দরমার ফাঁক দিয়ে জল পড়ে তবলার ক্ষতি হতে পারে। একটা ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্যে তা জোটেনি।’ বাসিন্দারা কানাইলালবাবুর প্রশংসা করে বলেন, জয়নগরের নাম উজ্জ্বল করেছেন আমাদের কানাইদা। -নিজস্ব চিত্র