আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
২০২২ সালে রানিগঞ্জে একটি জুয়েলারি সংস্থার মালিকের বাড়িতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হয় সশন্ত্র ডাকাত দল। এই গ্যাংয়ের কাছে খবর ছিল, একশো কেজি সোনা মজুত রয়েছে ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে গুলি বিনিময় হয়। তারপরেও তারা কিছু সামগ্রী লুট করে। এই ঘটনার তদন্তভার নিয়ে সিআইডি জানতে পারে, এর পিছনে রয়েছে বেউর জেলে বন্দি সুবোধ সিংয়ের গ্যাং। আগ্নেয়াস্ত্র সে-ই সরবরাহ করেছিল। ২০১৭তে আসানসোলে একটি স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থা ও ২০১৯-এ মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় সুবোধের নাম জড়ায়। ২০২০ সালে সিআইডি তাকে জেলে জেরাও করতে যায়। সংশোধনাগারে পৌঁছেও সেবার রহস্যজনক কারণে তাকে জেরা করতে পারেননি অফিসাররা।
২০২২-এ রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় আদালতের নির্দেশ নিয়ে গ্যাংস্টারকে জেরার চেষ্টা হলেও বিভিন্ন কারণে তা আটকে যাচ্ছিল। তারপরেও হাল ছাড়েননি তদন্তকারীরা। আবার আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে জেরা করার জন্য ৬ জুন বেউর জেলে পৌঁছয় সিআইডি টিম। অনেক জটিলতা কাটিয়ে তাঁরা সুবোধের সেলে হাজির হন। জেরার শুরুতেই তার কাছে রানিগঞ্জের ডাকাতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে অফিসারদের জানায়, এই গ্যাংটি তারই। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দলটি রওনা হয়েছিল বাংলা-বিহারের সীমানা লাগোয়া এই জেলায়। তদন্তকারীরা তার কাছ থেকে জেনেছেন, সে কারাগারের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলেও তার নির্দেশমতো গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন চালাচ্ছে। অস্ত্রাগার থেকে তার কথামতো আর্মস তুলছে গ্যাংয়ের লিডার। তদন্তকারীদের সে জানিয়েছে, তার নিজস্ব নেটওয়ার্ক রয়েছে বাংলায়। এই রাজ্য তার হাতের তালুর মতো চেনা। যে কারণে সেখানকার ছেলেদের নিয়ে টিম তৈরিতে সুবিধা হয়েছে। তার টার্গেট বড় জুয়েলারি দোকান ও স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থা। লোকাল টিমের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ছক কষে তারই গ্যাংয়ের সদস্যরা হানা দিচ্ছে। ২০১৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত সোনার দোকান ও স্বর্ণঋণদানকারী সংস্থায় লুট হয়েছ, তার সবক’টিতে তার গ্যাং রয়েছে। সূত্রের খবর জেরায় সুবোধ দাবি করেছে, তার শিষ্যরা আলাদা আলাদা গ্যাং তৈরি করেছে। তারাও এই রাজ্যে ডাকাতি করছে ‘গুরু’র অনুমতি নিয়েই। বাংলা ছাড়া মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য তার টার্গেট। নিজের রাজ্য বিহারের বিভিন্ন সংস্থা তার সঙ্গে মাসিক রফা করে নেওয়ায় সেখানে অপারেশন কমিয়ে দিয়েছে। এই সমস্ত তথ্য জোগাড়ের পরই তাকে হাতে পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তোড়জোড় সিআইডি শুরু করেছে বলে খবর।