আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অভিযোগ, চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ঘনিষ্ঠ সাহেব মালিক ওই সরকারি জমির প্রতি শতক ৪০-৫০ হাজার টাকা দরে বেশ কয়েকজনকে বিক্রি করেন। ওই জমি বিক্রি হয় ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে। ভূমি দপ্তরের রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি বিক্রি হয়নি। ৩৬ শতক জায়গার মধ্যে অনেকেই আবার ১০-১২ বছর আগে প্রকৃত মালিকের থেকে জমি কিনেছিলেন। জমির দাগ নম্বর অনুসারে সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়ায় তাঁদের দলিল থাকলেও বর্তমানে তাঁদের নামে পরচা তৈরি হয়নি। জমিজটের মাঝে দালাল চক্র স্বল্পমূল্যের লোভ দেখিয়ে বহু মানুষকে জমি বিক্রি করে দেয়। দিনের পর দিন সরকারি দপ্তরে ঘুরেও তাঁরা পরচা বের করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা সরকারি জমি পরিমাপের জন্য গিয়েছিলেন ওই গ্রামে। বৃহস্পতিবার জমির এক দালালের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ক্রেতাদের একাংশ।
এমনই এক ক্রেতা বাবু মিদ্যা বলেন, ভূমি দপ্তরের অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে জায়গা কিনেছিলাম। পঞ্চায়েতকে কর দিই। নিজের নামে পরচা বের করতে পারছি না। কীভাবে সরকারি জায়গা বিক্রি করা হল! কীভাবেই বা সরকারি জমি আমাদের নামে রেজিস্ট্রি হল! এর পিছনে যারা রয়েছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি প্রয়োজন। আমরা আমাদের টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছি।
আরেক ক্রেতা আবু তাহের মিদ্যা এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লাল্টু চট্টোপাধ্যায় সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, স্থানীয় দালালকে ব্যবহার করে লাল্টু এই দুর্নীতি করেছে। এই এলাকায় এভাবে বহু সরকারি জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। শুধু এই জায়গা নয়, সেচদপ্তরের জমিও বিক্রি করা হয়েছে। অবিলম্বে এই চক্রের মাথাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু মণ্ডল বলেন, আমাদের এলাকায় দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলির নিজস্ব ভবন নেই। সরকারি জমিতে দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হলেও জমি মিলছে না। অথচ এই এলাকায় বহু সরকারি জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এমনকী, ভাগারের জমিও বেচে দিয়েছে দালালরা।
স্থানীয় দালাল সাহেব মালিকের বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী আশা মালিক বলেন, চাঁপাডাঙ্গা এলাকার আগেও বহু সরকারি জায়গা বিক্রি হয়েছে। আগে তার তদন্ত হোক। চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লাল্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন, জমি নিয়ে জটের কথা লিখিতভাবে পঞ্চায়েতকে জানানো হয়নি। আমার সম্পর্কে যা রটানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তাঁরা বিরোধী দল করেন। তারকেশ্বর ব্লকে ভূমি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশ মুণ্ডা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি।