আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ওই বধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে তাঁর কোনও চিকিৎসা না করে অন্যত্র স্থানান্তর করার কথা বলা হয়। এদিকে হাসপাতালে কোনও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স খুঁজতেই দুই ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্সে করে প্রসূতিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই তিনি সন্তান প্রসব করেন। পরে তাদের স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতার পরিবারের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার সকালে ওই বধূর অবস্থার অবনতি হলে, তাকে ফের বাউড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁদের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকে হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা না হওয়ার জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিন সকালে হাসপাতালে আসার আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল। এরপরেই হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করাতে চায়। যদিও মৃতার পরিবারের লোকজন মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হননি। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিসের পদস্থ কর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কয়েক ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিস মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।