আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বারাসতের কাজীপাড়ায় ১১ বছরের এক কিশোরের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু করে। পুলিস ঘোষণা করে, ওই কিশোরের মৃত্যুর সঙ্গে ছেলেধরা বা অঙ্গ পাচার কোনওভাবে জড়িত নয়। কিন্তু তাতে গুজব থামেনি। এদিন সকালে প্রথম ঘটনাটি ঘটে পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়ায়। ছেলেধরা সন্দেহে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেয় জনতা। পুলিস জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মদন মণ্ডল। বাড়ি বসিরহাটে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্রীনগরের ঘোলা-কাছারিরোডে এক মহিলা ও এক পুরুষকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলা যখন অটোতে উঠতে যাচ্ছিলেন, তখন আচমকাই কিছু লোক তাঁকে অটো থেকে নামিয়ে ছেলেধরা বলে মারতে শুরু করে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ব্যক্তিকেও একই কারণে মারধর শুরু হয়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, লাথি চলে। পুলিস ছুটে এলে উত্তেজিত জনতা তাদের উপরও চড়াও হয়। তখন বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী ও এসডিপিও বিদ্যাগর আজিঙ্ক মন্নতের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পুলিস জানিয়েছে, জখম মহিলার নাম মেহেরা বানু। তাঁর বাড়ি আমডাঙায়। আরেকজন জখমের বাড়ি দত্তপুকুরে হলেও তাঁর নাম জানা যায়নি রাত পর্যন্ত। বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, ‘যারা গুজব ছড়িয়েছে এবং এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা। মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। গুজবে কান দেবেন না।’