জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
লেকটাউন থানার দক্ষিণদাঁড়ি অরবিন্দ কলোনি এলাকায় বিশ্বপ্রতাপবাবুর বাড়ি। ইটের গাঁথনির উপর টালির ছাউনি। বাড়িতে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। বিশ্ববাবুর পরিবারে রয়েছেন মা, বাবা, স্ত্রী, ১২ বছরের সন্তান ও দু’ভাই। বিশ্ব একটি কনস্ট্রাকশন সংস্থার সুপাইভাইজার পদে ছিলেন। বর্তমানে অসমের গুয়াহাটিতে কাজ চলছে সে সংস্থার। দেড়মাস আগে সেখানে গিয়েছিলেন। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ফিরছিলেন বাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর বিশ্বপ্রতাপ মোবাইলে তাঁর স্ত্রী নিতু মিশ্র’র সঙ্গে গল্প শুরু করছিলেন। দেড়মাস পর বাবা ফিরছে শুনে, আনন্দে ছিল তাঁদের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া পুত্রও।
বুধবার বিকেলে তাঁদের বাড়িতে শুধুই কান্নার আওয়াজ। স্ত্রী, মা ও সন্তান কেঁদেই চলেছেন। কিছুক্ষণ আগে এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিশ্বপ্রতাপের ভাই অঙ্কিত বলেন, ‘দাদার কোনও খোঁজ না পেয়ে শিয়ালদহে ডিআরএম অফিসে গিয়েছিলাম। রেল কোনও তথ্য জানাতে পারেনি। আমরা মৃত ও জখমদের তালিকায় দেখলাম, দাদার নাম নেই। শিয়ালদহেও দেখলাম দাদা নেই। তারপর মেজ ভাই অজিত মঙ্গলবার সকালে রওনা দিয়ে রাতে শিলিগুড়ি পৌঁছয়। স্টেশনে খোঁজখবর করে। কিন্তু কিছু জানতে পারেনি। তবে পরের দিন সকালে মর্গে দেহ শনাক্ত হয়। তারপর জানতে পারি দাদা আর নেই।’ কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিল দাদা। কীভাবে সংসার চলবে জানি না।’ বিশ্বপ্রতাপের মা সাবিত্রী মিশ্র চোখে জল নিয়ে বলেন, ‘শুনলাম, বাড়ি এসে খাবে। আমি রান্না করতে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু জানতাম না ছেলেটা আর কোনওদিন ফিরবে না।’