আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরে বারাসত শহরে গুজব রটেছে শিশুপাচার নিয়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত থানায় এই সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অপরিচিত কেউ এলাকায় গেলে তাকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। এই তথ্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে পুলিসের শীর্ষমহলে। তারপরেই টনক নড়েছে বারাসত জেলা পুলিসের। বুধবার শহরে পৃথক দু’টি ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে পুলিস।
এদিকে গুজবের জেরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে গুজব ঠেকানোর পাশাপাশি সুষ্ঠু, স্বাভাবিক জনজীবন বজায় রাখতে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। ত্রিস্তরীয় বলয় গড়ে এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচার নিয়ে যে গুজব রটছে, তা বন্ধ করতে বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্য ক্লাবগুলিকে পথে নামানো হবে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। তবে সবথেকে সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যালয়। কেননা, বারাসত শহরে রয়েছে একাধিক নামীদামি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়। পাশাপাশি একাধিক সরকারি স্কুলও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শিশুমনের পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও যাতে এর কোনও প্রভাব না পড়ে, তার জন্য উদ্যোগী পুলিস-প্রশাসন। এছাড়াও গুজব যারা ছড়াচ্ছে, গোপনে তাদের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। এজন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে পুলিসের তরফে। বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নিয়ে আমরা বৈঠক করব। সঙ্গে থাকবেন শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরাও। প্রতিটি বিদ্যালয়কে বলা হবে অভিভাবকদের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য। এখনও পর্যন্ত বারাসত শহরে যে গুজব রটেছে, তাতে এলাকার নাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি আরও কড়াকড়ি করা হবে। যেহেতু গুজবে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, তাই পুলিসের পক্ষ থেকেও জোরকদমে টহল চলবে। প্রিয়া দাস নামে বারাসতের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন, গুজব রটছে। এক্ষেত্রে পুলিসের কড়া হাতে মোকাবিলা করা দরকার। সেইসঙ্গে বিদ্যালয়গুলি উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।