আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এদিন গয়েশপুরে ধর্নায় বসেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কৌশিক ঘোষ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুরজিৎ সরকার এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বপ্না অধিকারী। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুরপ্রধান স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। পুরবোর্ডের মিটিংয়ে যে সমস্ত আলোচনা হয়, পরে সেগুলো বাস্তবায়িত হয় না। শুধু তাই নয়, গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের ওয়ার্ডগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূলকে হারানো হয়েছে। সম্প্রতি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলাধার তৈরির জন্য মাটি কাটা হয়েছে। সেখানে ই-টেন্ডার ছাড়াই এক লক্ষের বেশি টাকার বরাত একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন ধর্নাকারীরা। সন্ধ্যার দিকে তাঁরা পুরপ্রধানের ঘরে যান আলোচনার জন্য। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলারদের এই ধর্নার ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরে। যদিও দু’পক্ষই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছে। ধর্নায় বসা কাউন্সিলারদের দাবি, যতক্ষণ না রাজ্য নেতৃত্ব তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলি মেটাবেন, ততক্ষণ তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।
বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের একজন তথা পুরসভার প্রাক্তন উপপ্রধান কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘আমরা তিনজন ধর্নায় বসেছি। আরও কয়েকজন আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। পুরসভায় প্রচুর দুর্নীতি হচ্ছে। টেন্ডার ছাড়া কাজ হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উন্নয়নের টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করছি আমরা।’ পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই কাউন্সিলারদের একাধিক বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগই মিথ্যা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ দপ্তরের মন্ত্রীকে জানাব।’ -নিজস্ব চিত্র