সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, হামলার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিহারের বেউর জেলে বন্দি কুখ্যাত গ্যাংস্টার-ডন তথা ‘জুয়েল থিফ’ বলে পরিচিত সুবোধ সিংয়ের গ্যাং। গাড়ির শো-রুম, রেস্তরাঁ, হোটেল ও প্রোমোটিং কারবারে যুক্ত এই ব্যবসায়ীকে ছ’মাস আগে প্রথম ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ (রংদারি ট্যাক্স) চায় জেলবন্দি সুবোধ। এরপর নাগাড়ে ফোন করে চললেও, অজয়বাবু তা ধরেননি। তদন্তে পুলিস জেনেছে, তিনদিন আগে ফের ফোন করে সুবোধ নিজেই। তখনও ফোন ধরেননি অজয়বাবু। এরপরই এদিনের ঘটনা। তবে এই হামলার ঘটনায় স্থানীয় অপরাধীদের সংস্রবও যে রয়েছে, তা স্পষ্ট বলছে পুলিস। কিন্তু এহেন কুখ্যাতের হুমকি ফোন পেয়েও কেন অজয়বাবু পুলিসের সাহায্য নেননি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিহার সহ সাত-আটটি রাজ্য পুলিসের মাথা ব্যথার কারণ এই গ্যাংস্টার ও তার দলবল কতটা ‘বেপরোয়া’ তার প্রমাণ মেলে হামলার ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই। পুলিসের আশ্রয়ে ব্যবসায়ী অজয়বাবু তখন থানায় বসে। ‘ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল’ (ভিওআইপি) কলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীকে ফোন করে খোদ সুবোধ সিং। পরের বারের জন্য প্রস্তুত থাকার হুমকি দেয় ওই গ্যাংস্টার। বিকেল চারটে নাগাদ বারাকপুরের আরেক প্রোমোটারকে ফোন করে অজয়বাবুর ঘটনার উল্লেখ করে তোলা চেয়ে হুমকি দেয় সুবোধ। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় ভিওআইপি কল। তদন্তকারীরা বলছেন, বাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতী আগরপাড়ায় অজয়বাবুর গাড়ির শোরুমের কাছে অপেক্ষা করছিল। বেলা দুটো নাগাদ শোরুম থেকে বের হয়ে অজয়বাবু যাচ্ছিলেন ডোমজুড়ে তাঁর নির্মীয়মাণ স্কুলে। পিছু নেয় ওই দুষ্কৃতীরা। রথতলা মোড়ে সিগন্যাল খোলার পর অজয়বাবুর গাড়ি এগনো মাত্রই বাইকের পিছনের আসনে বসা আকাশি রংয়ের জামা পরা এক দুষ্কৃতী দু’হাতে পিস্তল ধরে নাগাড়ে গুলি চালাতে থাকে। একসময়ে গাড়ির সামনে চলে আসে তারা। থার্মাল সেন্সরে গাড়ি থেমে গেলে, ফের গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী। আতঙ্কিত অজয়বাবুর কথায়—‘একমাত্র ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে গেলাম।’