সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে এদিন দুপুরে ছাড়ে আপ কুলিক এক্সপ্রেস। ট্রেনের দু’টি অসংরক্ষিত কামরায় থিকথিকে ভিড় ছিল। বসার জায়গা তো দূরঅস্ত, কোনওরকমে দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিলেন না অনেকে। দুপুরের ভ্যাপসা ও তীব্র অস্বস্তিকর গরমে কামরার মধ্যে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ট্রেন চলতে শুরু করার পর থেকেই অনেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। কারও কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হুগলি স্টেশনের কাছে ট্রেনের গতি শ্লথ হয়ে যায়। একসময় সেটি দাঁড়িয়ে পড়লে অসংরক্ষিত কামরা থেকে কয়েকজন যাত্রী লাফিয়ে লাইনের উপর পড়েন। তাঁদের মধ্যে মহিলা-পুরুষ, এমনকী শিশুও ছিল। এমন ঘটনা দেখে প্রথমে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বোঝা যায়, ট্রেনের ভিতর অস্বাভাবিক গরম এবং ঠাসাঠাসি ভিড়ের কারণে অসুস্থ বোধ করায় তাঁরা লাফ দিয়েছেন। অনেকে জল চেয়ে আর্তনাদ করছিলেন। স্থানীয়রা এক শিশু, এক মহিলা ও ন’জন পুরুষকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাঁদের রেললাইন সংলগ্ন কোদালিয়া ২ অঞ্চলের একটি ক্লাবে নিয়ে গিয়ে জল দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কোদালিয়া ২ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস। পরে অবশ্য আরপিএফ এর কর্তারা এসে কথা বলেন ওই যাত্রীদের সঙ্গে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়া যাত্রীদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ওড়িশায় কাজ করেন তাঁরা। মোট ৩৮ সদস্যের দলটি হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠেছিল।