সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১৪, তালতলা লেনের বাসিন্দা এখলাস। একটি কল সেন্টার চালান তিনি। তাঁর বাড়ির নীচে গত মাস চারেক বাইক পার্ক করছিল অভিযুক্ত। এখলাসের বাবা সিকান্দার বেগ জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বাইক রেখে বাড়িতে ঢুকতে যান এখলাস। বাইক রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তিনি দেখেন, সেখানে আগে থেকেই সোনার বাইক রাখা। পাশেই বসেছিল সোনা। তাকে তার বাইক সরাতে বললে সে বলে, ‘না সরালে কী করবি?’ এনিয়ে শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের তুমুল বচসা। কিছুক্ষণ পর তা মিটেও যায়। রাতে তালতলা লেনের ওই বাড়িতে দলবল নিয়ে হাজির হয় সোনা। বাড়ির বাইরে ডাকা হয় এখলাসকে। সিকান্দারসাহেবের দাবি, ‘আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে মির্জা গালিব স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওকে গুলি করা হয়। ছেলেকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল ওদের।’ কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পিস্তল থেকে গুলি চালানো হয়েছে। তিন রাউন্ড গুলি চলে। প্রথম দু’টি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তৃতীয় গুলিটি যুবকের ডান পায়ের কাফ পেশিতে লাগে। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান তিনি। ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন। বেগতিক বুঝে বাইকে চেপে চম্পট দেয় সোনা ও তার দলবল। পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস এসে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারী অফিসার। তার ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পার্ক স্ট্রিট থানা। সেই সঙ্গে সোনা ও তার দলবলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভোটপর্ব মিটতেই গুলি চলেছিল কসবায়। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপির একের পর এক ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।