নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামিকাল, সোমবার কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে দিনভর ৭৪টি মেট্রো কম চলবে। ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেন চলাচল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। যাত্রীদের বক্তব্য, গত কয়েকবছর ধরে সরকারি ছুটির দিন ট্রেনের সংখ্যা কম থাকে। কিন্তু তা এতটাও রুগ্ন দেখাত না। নর্থ-সাউথ রুটে সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে দিনভর ২৮৮টি মেট্রো চলে। সরকারি ছুটির দিনে তা কমে ২৩৪ হতো। অর্থাৎ ৫৪টি কাটছাঁট হতো। কিন্তু এবার ঈদে মাত্র ২১৪টি ট্রেন চলবে। অর্থাৎ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মদিবসের তুলনায় ৭৪টি মেট্রো পরিষেবা কম পাবেন যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। শহরের সবথেকে ব্যস্ত মেট্রো রুটে একলপ্তে পরিষেবা কমানোর ব্যাখ্যা মিলছে না। মেট্রো ভবনের এক আধিকারিকের কথায়, সম্প্রতি রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে পার্ক স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেড স্টেশনে জল ঢুকে গিয়েছিল। মেট্রো লাইন জলে ডুবে যাওয়ায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল পরিষেবা। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। মেট্রোর গোটা পরিচালন ব্যবস্থা কার্যত ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। মেট্রোর সার্বিক সুনাম নষ্ট হচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
জানা গিয়েছে, সংখ্যা কমলেও দেশের প্রথম মেট্রো রুটে আগামিকাল ট্রেনের সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ দিনের প্রথম ও শেষ মেট্রো অন্যান্য দিনের মতো একই সময়ে প্রান্তিক স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে। অন্যদিকে ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যেই মেট্রো পরিষেবার সংখ্যাও আগামিকাল কমবে। অন্যান্য কাজের দিন সংশ্লিষ্ট করিডরে সারাদিনে ১০৬টি পরিষেবা পান যাত্রীরা। কাল তা কমে হবে ৯০টি। এই রুটেও মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন হবে না। শহরের এই দু’টি রুটে পরিষেবা কমলেও বাকি তিনটি রুটে কোনও অদলবদল হবে না। সংশ্লিষ্ট রুটগুলি হল, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড, জোকা থেকে মাঝেরহাট এবং কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। এই মেট্রো পথে সপ্তাহের কাজের দিনগুলির মতোই পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা।