সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস, দমকল এবং স্থানীয় কাউন্সিলার দীপিকা দত্তের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণটি হয় দীনবন্ধু অ্যাপার্টমেন্টে। গোপালপুর সরকারপাড়ার একটি বড় রাস্তার ধারে গলিতে এই বহুতলটি। এর চারতলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন অজয় ডল, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে সঞ্জয়। পরিবারের রান্নাঘরে একটি অর্ধেক ব্যবহৃত সিলিন্ডার ছাড়াও ব্যালকনিতে আরও একটি ভর্তি সিলিন্ডার রাখা ছিল। এই দুটির ভিতর রান্নাঘরের সিলিন্ডারটি লিক করতে শুরু করে। সেখান থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্ল্যাটে। কিন্ত তা পরিবারের কেউ টের পাননি। ফলে এদিন সকাল সাতটার সময় যথারীতি ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে গৃহকর্ত্রী পূর্বদিকের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সূর্য প্রণামের জন্য দেশলাই জ্বেলে ধূপকাটি ধরাতে যান। মুহূর্তেই গোটা ফ্ল্যাটে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই রান্নঘরের সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। আগুনে ঝলসে যান ডল পরিবারের তিনজনই। তাঁরা মেঝেতে পড়ে কাতরাতে থাকেন। এর ভিতর ব্যালকনিতে রাখা ভর্তি সিলিন্ডারও ফেটে যায়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ফলে দেওয়াল, গ্রিল সহ বারান্দার একাংশ উড়ে যায়। সেই ভাঙা অংশ দিয়ে গলগল করে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় লোকজনই ছুটে গিয়ে উদ্ধারে হাত লাগান। পরবর্তী সময়ে দমকলের কর্মীরা বহু কষ্টে আগুনের হলকা উপেক্ষা করে চারতলায় উঠে ডল পরিবারের তিনজনকে উদ্ধার করেন।
কাউন্সিলার দীপিকা দত্ত বলেন, ওই ফ্ল্যাটের ভাঙা অংশটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও কিছু নীচে এসে কারও গায়ে না পড়ে। কারণ ওই ফ্ল্যাটে এখন কেউ নেই। সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।