বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুরের কদম্বগাছি এলাকার বাসিন্দা সাকিরা বিবি (৫১)-কে এদিন দুপুরে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় বারাসতের এক নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রথমে রোগীকে ভর্তি নিতে চায়নি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর রোগী পরিবার অনুনয় করলে ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। রোগী পরিবার ১৭ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু রোগীকে ভর্তি নেওয়ার কিছু সময় পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগী মারা গিয়েছে। মৃতার স্বামী আমিন আলি সর্দার বলেন, ওরা প্রথমে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখে ভর্তি নিতে চায়নি। হাতেপায়ে ধরে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি করাই। তারা প্রথমে বলে, রোগী মারা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও নিয়ে গিয়ে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেয়। কিছু সময় পর বলে রোগী মারা গিয়েছে। ওরা টাকা নেওয়ার জন্যই আমার মৃত স্ত্রীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে ছিল। নার্সিংহোমের তরফে আব্দুল রেজ্জাক বলেন, ওই মহিলাকে খুব সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ভর্তির সময় ওঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখাননি। তাই নিয়ম মেনে টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে হদরোগে আক্রান্ত খুবই সঙ্কটজনক ওই রোগীকে আইসিইউ সাপোর্ট দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। ওঁরা কেন এমন অভিযোগ করছেন, তা বলতে পারব না।