বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পরিবর্তনের সেই লিপ্সা আর আকাঙ্ক্ষা সঙ্গে নিয়েই বিমানবন্দরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি লুইজিনহো ফেলেইরো, কংগ্রেস থেকে আসা প্রিয়া রাঠোর, উল্লাস ভাস্করের মতো নেতা-নেত্রী এবং অগুনতি তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। মমতার গোয়া সফরের খবর সামনে আসার পর থেকেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাবাড়ে বারবার আক্রমণের নিশানায় এনেছেন তৃণমূলকে। বাংলায় বসে তাতে সঙ্গত দিতে শুরু করেছেন সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষরা। পানাজি সহ গোয়ার বিভিন্ন প্রান্তে মমতার ছবি সম্বলিত ফ্লেক্স, ব্যানার এবং হোর্ডিং ছেঁড়ার কাজ শুরু করেছিল গেরুয়া বাহিনী। এদিন আবার বিমানবন্দরের বাইরে গেরুয়া বাহিনী গো ব্যাক স্লোগান আর কালো পতাকা নেড়ে মমতাকে বিব্রত করার চেষ্টাও চালায়। গুরুত্ব দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। উচ্ছ্বাস কমায়নি রাস্তার দু’ধারে জড়ো হওয়া গোয়ানরা। তৃণমূল সুপ্রিমোর সফরকে কেন্দ্র করে ‘পরিবর্তনকামী’ মানুষের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা শুরু হয়েছে, তা বোঝা যায় এদিন দলের গোয়া রাজ্য কমিটির টুইট বার্তায়—‘অগ্নিকন্যার হাত ধরেই গোয়ায় হবে নতুন সরকার, স্থায়ী সরকার, উন্নয়নের সরকার’। পানাজি থেকে আট কিলোমিটার দূরের ডোনা পাওলায় থাকছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আরব সাগর তটের ডোনা পাওলাই মমতার আগামী দু’দিনের অস্থায়ী ঘাঁটি। আজ, শুক্রবার সকাল ১০টায় এখান থেকে মমতা শুরু করবেন তাঁর কর্মসূচি। মিলিত হবেন তৃণমূলের গোয়ার নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। এরপর বেটিমে ধীবর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। বেলা একটায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন মমতা। এদিনই পণ্ডার তিনটি প্রসিদ্ধ দেবালয় পরিদর্শন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় ডোনা পাওলায় মিলিত হবেন গোয়ান সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট লোকজনের সঙ্গেই। এখানেই কি তৃণমূলে যোগ দেবেন বিখ্যাত র্যাপার রেমো ফার্নান্ডেজ, গায়ক লাকি আলি এবং অভিনেত্রী নাফিসা আলি সহ আরও কয়েকজন তারকা? জল্পনা এখন গোয়াজুড়ে। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ব্যানার।