বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এ বিষয়ে হাওড়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তারাগতি ঘটক বলেন, দু’জন এই ঘটনায় এখনও পলাতক। তাদের ধরতে এবং বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য আমরা দুই ধৃতের ১০ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়েছিলাম। আদালত ছ’দিন মঞ্জুর করেছে। ইতিমধ্যে ধৃতদের জেরা করে এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে আলমপুরের কাছে নিজের নার্সিং হোমে চেম্বার করছিলেন ডাঃ গৌতম দাস। রাত ১১টা নাগাদ চেম্বার বন্ধ করে নিজের গাড়িতে চেপে তিনি সাঁকরাইল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। অভিযোগ, কিছুটা এগতেই চার দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে তাঁর গাড়ির পথ আটকায়। তাদের মধ্যে তিনজন পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখিয়ে গাড়ির চালককে তাঁর আসন থেকে নামিয়ে দেয়। তারপর তারা চিকিৎসককে নিয়ে ওই গাড়ি চালিয়েই চম্পট দেয়। গাড়িতে তিনজন দুষ্কৃতী ওঠে। আর একজন বাইক নিয়ে পালায়। কিছুক্ষণ পর গৌতমবাবুর ফোন থেকে তাঁর ছেলে ডাঃ দেবায়ন দাসকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। তারা দেবায়নবাবুকে বলে, যা টাকা পয়সা আছে, সব নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলা হয়, পুলিসকে এই কথা জানালে ‘ফল খারাপ’ হবে। অপহৃত চিকিৎসককে দুষ্কৃতীরা জানায়, কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়ে গেলে ছাড়া হবে তাঁকে।
দুষ্কৃতীদের হুমকি সত্ত্বেও দেবায়নবাবু গোটা বিষয়টি সাঁকরাইল থানাকে জানান। দেবায়নবাবু বলেন, বাবার ফোন থেকেই বারবার ফোন করছিল অপহরণকারীরা। কথা হয়ে গেলেই ফোন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। একাধিক জায়গায় মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যেতে বলা হয় আমাকে। শেষমেশ ধুলাগড় টোল প্লাজার কাছে একটি ব্রিজে আসতে বলা হয় আমাকে। পুলিস প্রস্তুত ছিল। আমি পুলিসকে তখনই ওই জায়গার কথা জানাই। তারাও দ্রুত এলাকা নজরদারির আওতায় আনে। বিশাল একটি বাহিনী ওই ব্রিজের দিকে এগতে শুরু করে। একজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বাবাকে। আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ঘন্টা দেড়েক পরে। কেন তারা বাবাকে অপহরণ করল, তা আমরা জানি না। মুক্তিপণ চাওয়ার সময়েও আমাদের কোনও কারণ বলা হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, গান পয়েন্টে রেখে আমাকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওরা বলেছিল, নড়লেই গুলি করে দেবে। বিভিন্ন রাস্তায় আমাকে ঘোরাতে থাকে। কখনও আন্দুল, কখনও জঙ্গলপুর। পুলিস অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে। কপাল জোরে বেঁচে ফিরেছি।