পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিকেল ৫টার অনেক আগেই ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া রোডে কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি সম্পূর্ণভাবে আটকে দেওয়া হয়। বিষয়টি তদারকি করেন কলকাতা পুলিসের যুগ্ম-কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা এবং ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ। সেখানে কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন ভবানীপুর থানার ওসি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। এমনকী, চিহ্নিত এলাকায় বাইরে থেকে আসা কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান দেবে পুলিস-প্রশাসন। ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর অসীম বসু বলেন, ওই এলাকায় আবাসনের ঠিকানা অনুযায়ী একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তিনি ও ভবানীপুর থানার এক শীর্ষ আধিকারিক রয়েছেন। তাঁরাই বাসিন্দাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবেন এই পর্বে।
মধ্য কলকাতার রাজা রামমোহন রায় রোডের চিহ্নিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সেখানে লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে। পুলিসকর্মীরাও যথেষ্ট সক্রিয়। কন্টেইনমেন্ট জোনের সমস্ত দোকান নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যথাযথ নিয়ম মেনে
শুরু হয়েছে এই দফার লকডাউন। চলতি পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছেন সংশ্লিষ্ট জোনের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, সংখ্যায় কম হলেও কন্টেইনমেন্ট জোনের আশপাশে এদিনও চোখে পড়েছে কিছু মানুষের উদাসীনতার ছবি। করোনা পরিস্থিতিতে হুঁশ ফেরেনি তাঁদের। বেমালুম মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। সঙ্গে রয়েছে রকমারি অজুহাত। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এক পুলিস কর্তা স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, বাড়ির বাইরে বেরতে হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এক বাসিন্দাকে মাস্ক ছাড়া দেখে ধমক দেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরনোর কারণে মোট ৩ হাজার ৮১৯টি মামলা রুজু করা হয়েছে।