পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মালিকরা জানাচ্ছেন, হোটেলের দরজা খুললেই কর্মী এবং বিদ্যুৎ খরচ বাবদ দুই থেকে তিন হাজার টাকার মতো খরচ হয়। সঙ্গে রয়েছে ওয়াইফাইয়ের মাসিক খরচ। বিছানার চাদর, বালিশের কভার পরিষ্কারের জন্য লন্ড্রির খরচ। এখানেই শেষ নয়, স্যানিটাইজার ব্যবহারে খরচ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
শনিবার ওই এলাকার বেশ কিছু হোটেল ঘুরে দেখা গেল, বোতলের স্যানিটাইজারের পাশাপাশি কিছু কিছু হোটেল মেশিনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, এতসব ব্যবস্থা যাঁদের জন্য, সেই ‘অতিথিদেবতা’র দেখা মিলছে কালেভদ্রে। একটি গেস্ট হাউসের কর্মী জানালেন, গত ২৫ জুন থেকে হোটেলের দরজা খুলেছে। আজ পর্যন্ত মাত্র তিনজন ওই হোটেলে চেক-ইন করেছেন। প্রসঙ্গত, এদিন ওই হোটেলের সমস্ত ঘর খালি রয়েছে বলেই জানান ওই কর্মী। তাঁর মন্তব্য, শিয়ালদহের প্ল্যাটফর্মে ট্রেন না ঢুকলে হোটেল ব্যবসা বেকার।
হোটেল কর্তৃপক্ষদের হিসেবে, লকডাউনের পরে খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, আর রোজগার আগের তুলনায় কমে হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। একটি লজে গিয়ে দেখা গেল, মোট ৩২টি ঘর রয়েছে। তবে একটি বাদে সবকটিই তালা বন্ধ। সেই ঘর ভাড়া নিয়েছে এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর পরিবার। হোটেল কর্মচারী সৌমেন সাহা বলেন, হাতে গোনা যে কয়েকজন মানুষ আসছেন, তাঁরা বেশিরভাগই রোগীর পরিবার। ফলে হোটেল স্যানিটাইজ করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যথেষ্ট নজর দিতে হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খরচও। কিন্তু রোজগার বলতে ভাড়া বাবদ প্রতিদিনের ৫০০ অথবা ৬০০ টাকা। ফলস্বরূপ, কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মীর সংখ্যা বহুলাংশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁদের বেতন দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা।
এও দেখা গেল, বেশ কিছু হোটেলের তালা খুললেও, ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে ফের বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কেউ কেউ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছেন। এক হোটেল মালিক জানান, ডাবল বেডের এসি রুমের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট চলছে। ট্রিপল বেডের জন্য অতিথিরা ছাড় পাবেন ১০-১৫ শতাংশ। বছরের বেশির ভাগ সময়ে যে হোটেল মালিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়ায় ঘর দিতেন, তাঁরাই আজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ছাড় দিচ্ছেন!