কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম বিভূতি ঘোষ। তাঁর বাড়ি কাঁকিনাড়ার কুতুবপুরে। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে বিভূতিবাবু কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বাইক চালিয়ে কলকাতায় যেতেন। একই রাস্তা ধরে রাতে বাড়ি ফিরতেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁকিনাড়ার পানপুর মোড় পেরতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রথমে তাঁর ধস্তাধস্তি বাধে। তারপর দুষ্কৃতীরা একটি শূন্য একটি গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি লাগে বিভূতিবাবুর পেটে। এরপরেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গুলিতে জখম অবস্থাতেই ছেলেকে ফোন করেন তিনি। কুতুবপুর থেকে ছেলে সহ অন্যান্য লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানেই তিনি এখন চিকিৎসাধীন।
বিভূতিবাবুর পরিবারের দাবি, সম্প্রতি নতুন একটি বাইক কিনেছেন বিভূতিবাবু। ওই বাইক ছিনতাইয়ের জন্যই গুলি করা হয়েছে। যদিও পুলিস এই ঘটনায় ধন্দে পড়েছে। কারণ বাইক ছিনতাইয়ের জন্য দুষ্কৃতীরা গুলি করলে বাইকটি নিয়ে যেত। দুষ্কৃতীরা বাইকটি নিয়ে যায়নি। তাহলে কী এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে? ভাটপাড়া থানার পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বিভূতিবাবুর ছেলে জিৎ ঘোষ বলেন, ফোন করে বাবা বলল, আমায় বাঁচা। বললাম, কী হয়েছে? তারপরেই ফোন কেটে যায়। আমরা গিয়ে দেখি, বাবা রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। বাইক স্ট্যান্ড করা। বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এদিকে, নৈহাটিতে দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। যদিও ছিনতাইকারীকে পরে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে নৈহাটির স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে পেশায় জুট মিলের শ্রমিক চন্দ্রশেখর সাউ জজ রোড ধরে হেঁটে মারোয়াড়ি কলোনির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জজ রোডে হাতের ব্যাগে থাকা টাকা ছিনতাই করে এক দুষ্কৃতী। দৌড়ে পালাতে গিয়ে সে ধরা পড়ে যায় স্থানীয়দের হাতে। তাকে গণপিটুনি দেওয়ার পর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছিনতাইকারীকে। ধৃতের নাম জিতেন্দ্র শর্মা। বাড়ি নৈহাটিতেই।