কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এদিন সকাল দশটা নাগাদ রবীন্দ্র সরণীর নতুন বাজারে হানা দেন মুখ্যমন্ত্রী গঠিত টাস্ক ফোর্স ও এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা। ওই বাজারে ঢুকেই আধিকারিকরা বিভিন্ন সব্জি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। বিভিন্ন সব্জির কেজি প্রতি ও পাল্লার কত দাম যাচ্ছে বাজারে, সে নিয়ে সবিস্তারে নোট নেন ডায়েরিতে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বেগুন, ঝিঙে, বরবটি, পটল, কুমড়ো, চালকুমড়ো, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, আদা, রসুন, ধনেপাতা প্রভৃতির দামে কয়েকটি দোকানে পার্থক্য ধরা পড়ে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, এভাবে চলতে পারে না। ওই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অফিসাররা বলেন, আপনারা সকলে একই পাইকারি বাজার থেকে কাঁচা আনাজপত্র কিনে আনেন। তাহলে কেন দামের পার্থক্য থাকবে? ওই কথা চলার মাঝেই অনিল দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, দেখুন না, আমার কাছ থেকে এক ব্যবসায়ী ঢ্যাঁড়সের দাম নিয়েছেন ৬০ টাকা। অফিসাররা ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, যেখানে প্রতি কেজির দাম চলছে ৫০ টাকা, সেখানে আপনার কাছে দাম কেন বেশি? এরপরই ওই দোকানদার বাড়তি পয়সা ফেরত দিতে বাধ্য হন ওই ক্রেতাকে। কোথাও কোথাও ফুলকপি বাঁধাকপি, কড়াইশুঁটি সহ শীতকালীন সব্জির দাম কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে, অফিসাররা তারও ব্যাখ্যা চান কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। এদিকে, এই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলার মাঝেই দেখা যায়, এক আনাজ ব্যবসায়ী জেরা এড়াতে দোকান ফেলে অন্যত্র লুকিয়ে পড়লেন। আবার কয়েকজন ব্যবসায়ী রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাম উল্টোপাল্টা বলতে থাকেন। ওই ব্যবসায়ীর উদ্দেশে ইবি’র ইন্সপেক্টর নাড়ুগোপাল কুণ্ডু বলেন, ৪০ টাকায় কেনা হলে আপনি কী করে সেই বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন? তার মানে মওকা বুঝে যাঁর কাছে যেমন পাচ্ছেন, সেই দামে সব্জি বিক্রি করছেন। ওই ব্যবসায়ীকে তাঁর পরামর্শ, ন্যায্য দামে জিনিসপত্র বিক্রি করুন।
নতুন বাজার থেকে বেরনোর পথেই টাস্ক ফোর্স সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের উদ্দেশে কয়েকজন পথচলতি মানুষ বলেন, দাদা, শহরের আশপাশ এলাকার বাজারগুলিতে দয়া করে একটু খোঁজ নিন। সেখানে সব্জি কিনতে গেলেই আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। কোনও সব্জিতে হাত দেওয়ার উপায় নেই। তাতে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমি এনিয়ে জেলার ইবি’র পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। বাজার থেকে বেরনোর পথেই রবীন্দ্র সরণীতে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ তনিমা পাল, অনিমা হালদারদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, তিনদিন আগে যে দাম ছিল, তার তুলনায় এদিন বাজার করতে এসে দেখলাম, প্রতিটি সব্জিরই দাম দু’ পাঁচ টাকা করে কমেছে।
নতুন বাজার ঘুরে দেখার পর ওই দুই দপ্তরের আধিকারিকরা যান শোভাবাজার পরিদর্শন করতে। সেখানে তাঁরা কাঁচা আনাজের পাশাপাশি মাছ মাংস ডিমের দাম নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে আধিকারিকরা সাংবাদিকদের বলেন, দু’টি বাজারেই মাছের দাম মূলত একই দেখা গেল। একই কথা জানান স্থানীয় মানুষজনও। তাঁদের কথায়, এই দুই দপ্তর যদি লাগাতার নজরদারি চালায়, তাহলে লাগামছাড়া সব্জির দাম অনেকটাই সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে আসবে।