কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
রায়দিঘি বিধানসভার অধীন মথুরাপুর-২ ব্লক। বুলবুল ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েত সহ কঙ্কণদিঘি, নগেন্দ্রপুর, কুমড়োপাড়ার আইলা বাঁধ। ধস নেমেছিল এইসব এলাকার বাঁধে। রবিবার দুপুরে সরেজমিনে নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বাপুলি সহ মথুরাপুর-২ ব্লকের বিডিও,যুগ্ম বিডিও,সেচ দপ্তরের আধিকারিক,রায়দিঘি থানার ওসি। বিধায়ক দেবশ্রী রায় বুলবুল ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় না যাওয়ায় ক্ষোভ আছে এলাকার বাসিন্দাদের মনে। একজন বাসিন্দা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভোটের সময় দেখা মিলেছিল। এবার যদি একমাসের মধ্যে ভোট থাকতো তবে বিধায়কের দেখা মিলত। ত্রাণ বিলি থেকে শুরু করে আমাদের সমস্যা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই দেখাশোনা করছেন। আমরা বাঁধের ক্ষতির কথা তাঁদেরকেই জানিয়েছিলাম। তারপরেই এই পরিদর্শন। এদিকে বন কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বাপুলি বলেন, মথুরাপুর-২ ব্লক ঝড়ে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নন্দকুমারপুরের গুড়ের ঘেড়ি থেকে হরিণটানা বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার আইলা বাঁধের প্রায় ৭০০ মিটার ধস নেমেছে। খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ বাস করছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে মহম্মদনগর, কৈলাসপুর, নন্দকুমারপুর, জয়কৃষ্ণপুর, নারায়ণপুর, নরেন্দ্রপুর, মধুসুদন চক, জগ্ননাথের চক আটটি এলাকার মানুষ নাকচরা নদীর জলে প্লাবিত হবে। অবিলম্বে বাঁধ সংস্কার করার জন্য এদিন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি। আর সেচমন্ত্রীকেও নিজে এই বিষয়ে জানাব, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। শান্তনুবাবু বলেন, বিধায়ক নেই তো কী হয়েছে। দল আছে, সরকার মানুষের পাশে আছে। যে কোনও বিপদে আমাদের পাবে মানুষ। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মথুরাপুর-২ ব্লকের অনেক এলাকাতেই আইলার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নন্দকুমারপুরের কৈলাসপুর, মহম্মদপুর মৌজার বেশ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কঙ্কণদিঘিতে প্রায় ৩০০ মিটার, কুমড়োপাড়াতে ৬০০মিটার, নগেন্দ্রপুরে সীমানা জেটিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সব তালিকা জেলা প্রশাসনকে জমা দিয়েছি।