শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীর রামচন্দ্রখালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা ছোট কলাহাজরা গ্রাম। শাসকদলের যুব শিবিরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত হাঁসা ওরফে মোতালেব। এলাকাতে তার দাপটে বিরোধী দল শুধু নয়, তৃণমূলের মাদার শিবিরের কেউ কথা বলতে পারে না। কারণ, সামান্য বিবাদ হলেই হাঁসা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তার বাড়িতেই অনেকদিন ধরেই গোপনে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা চলছিল। বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র তৈরির জন্য মোটা অঙ্কের চুক্তিতে লোক আনা হত। এরপর হাঁসার বাড়িতেই তৈরি হচ্ছিল পাইপগান, রিভলভার, একনলা ও দোনলা বন্দুক। তৈরি করা হচ্ছিল কার্তুজও। বিষয়টি পুলিসের স্পেশাল গ্রুপ খবর পায়।
এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসন্তী থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা ছোট কলাহাজরায় মোতালেব ওরফে হাঁসদার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ির ওই কারখানা থেকে পাওয়া গিয়েছে, দুটো সিঙ্গল ব্যারেল পাইপগান, ৪টি রিভলভার, ১৬ রাউন্ড কার্তুজ, ছ’ টা মোবাইল ফোন। এছাড়া, অস্ত্র তৈরির হ্যান্ড ড্রিল মেশিন, পালিশ মেশিন ফাইল, হাতুড়ি, হ্যাক্সো, ব্লেড। এর বাইরে তিন কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় হাঁসা সশস্ত্র অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী গোষ্ঠী শিবিরের এক নেতার বাড়িতে বোমা মেরেছিল বলে অভিযোগ। হাঁসার সঙ্গে ধরা হয়েছে মজিদ আলি সর্দার, মুরসালিম মোড়ল, শওকত সর্দারকে।