শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, চীনের রেকটি ওই দেশের ডালিয়ান বন্দর থেকে জলপথে রওনা হয়েছিল গত ১ ফেব্রুয়ারি। সেটি খিদিরপুর ডকে এসে পৌঁছয় চলতি মাসের প্রথম দিকে। ডক থেকে ট্রেলারে করে কোচগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় ৭৫০ মিটার। তারপর রেলের লাইনে নামিয়ে কোচগুলিকে জোড়া হয় এবং একটি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে সেটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াপাড়া কারশেডে। সেখানে রেকটির আনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচন করা হয়।
চীনের এই রেকটি শহরে আসার পরই এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল তীব্র কৌতূহল। কারণ, গরম বাড়তে থাকায় বর্তমানে এসি ট্রেনের চাহিদা ব্যাপক। বহু যাত্রীই নন-এসি ট্রেন ছেড়ে দিয়ে এসি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করে থাকেন। অফিস টাইমে বেশ ভিড়ও থাকে এসি ট্রেনগুলিতে। সেই জায়গা থেকেই চীনের রেক চলতি গরমে যাত্রীদের চাহিদা মেটাবে বলেই মনে করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। মেট্রো কর্তৃপক্ষও জানিয়েছিল, শীঘ্রই রেকটিকে ট্রায়াল রানে নামানো হবে।
তাহলে ওই রেকটিকে যাত্রী পরিষেবায় নামাতে এতটা সময় লাগবে কেন? মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, নোয়াপাড়া কারশেডে ওই রেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়ার কাজ চলছে। সেই কাজ করতে কিছুটা সময় লাগবে। মোটের উপর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রেকটির ট্রায়াল রান শুরু করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ট্রায়াল রান পর্ব চলবে কয়েক মাস ধরে। ওই পর্বে রেকটির যাবতীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই বোর্ড চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে। তারপরই সেটিকে বাণিজ্যিকভাবে চালানো হবে। গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে পাঁচ-ছ’মাস সময় লাগতে পারে। কাজেই চলতি গরমে তো নয়ই, তবে পুজোর আগে রেকটিকে যাত্রী পরিষেবায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেট্রো সূত্রের খবর, চীন থেকে মোট ১৪টি এসি রেক আনা হবে। কিন্তু, প্রথম রেকটিকে যতক্ষণ না রেল বোর্ড অনুমোদন দিচ্ছে, ততক্ষণ দ্বিতীয় রেকটিকে আনা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। মেট্রো রেলের কর্তাদের বক্তব্য, বর্তমানে যেসব এসি রেক চলছে, সেগুলির থেকে চীনে তৈরি রেকটি উন্নত মানের। ফলে এই রেকটি পরিষেবায় নামলে, আরও উন্নত পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। বর্তমানে মেট্রোয় ১৪টি এসি এবং ১৩টি নন-এসি রেক রয়েছে। তা দিয়েই বর্তমানে কাজের দিনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ২৮৪টি করে ট্রেন চালানো হয়।