শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, আসন সমঝোতা নিয়ে টালবাহানার পর শ্রীরামপুর কেন্দ্রে সিপিএম গতবারের পরাজিত প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়কেই প্রার্থী করেছে। কিন্তু গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবির পর বামেদের সংগঠনে ধস নেমেছে। তাই প্রার্থী ঘোষণার পর আর কর্মীদের মধ্যে আগের মতো উদ্দীপনা নেই। ফলে দল নাম ঘোষণার পর তীর্থঙ্করবাবু সঙ্গে গুটিকয়েক লোক নিয়ে কখনও বাজারে, রাস্তায় বা বাড়ি বাড়ি প্রচারে নামলেও তিনি সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে প্রার্থী ঘোষণার পর গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রচারেই বেরোতে পারছেন না শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বহিরাগত তকমা সেঁটে কর্মীদের একটা বড় অংশ বসে গিয়েছেন। ফলে লোকসভা কেন্দ্রের হাতে গোনা কিছু পকেট ছাড়া বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লেখার কাজটুকুও এগোয়নি। তাই জেলায় এসে প্রচারে নামার আগে দলের কর্মীদের মান ভাঙানোই তাঁর বড় কাজ হয়ে উঠেছে।
আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনের পর কংগ্রেস দেবব্রত বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করেছে। তারপর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও দলের সাংগঠনিক শক্তি তলানিতে চলে যাওয়ায় এবং যাঁরা রয়েছেন তাঁদের একটা বড় অংশ প্রার্থী বহিরাগত বলে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় তিনি প্রচার শুরুই করতে পারেননি। তবে তিনি বড় সভা না করে এভাবেই মানুষের কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন তীর্থঙ্করবাবু। অন্যদিকে দেবজিৎবাবুর দাবি, প্রথমে কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা সেরে নিচ্ছি। দু এক দিনের মধ্যেই এলাকা ভিত্তিক প্রচার শুরু করব। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার আগেই দলনেত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংঙ্কেত পেয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যেপাধ্যায়। দল আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী বৈঠক সারেন কল্যাণবাবু। পাশাপাশি তাঁর সমর্থনে প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেই দেওয়াল লেখারও কাজ প্রায় শেষ। আর দোলের পরদিন থেকেই বিধানসভা ভিত্তিক রোডশো ও বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন কল্যাণবাবু। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোডশো, পদযাত্রা ও মিটিংয়ের মাধ্যমে কার্যত ফাঁকা মাঠে ঝড় তুলছেন। প্রচারে বেরিয়ে মানুষের জনজোয়ার দেখে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম ধাপে সবাইকে পেছনে ফেলে দেওয়ার এই পার্থক্যটা শেষ পর্যন্ত মেকআপ করাটাই বিরোধী দলের প্রার্থীদের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলের একাংশ।