বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

১২ লক্ষ পর্যন্ত আয়ে কর শূন্য, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থানের দিশা নিয়ে নীরব নির্মলা

সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি: অবশেষে মোদি শাসনে ‘মধ্যবিত্তের লক্ষ্মীলাভ’! ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেবী লক্ষ্মীর কৃপা প্রার্থনা করেছিলেন। ভারতীয় বাণিজ্যের চেনা আপ্তবাক্য হল, খদ্দেরই সবথেকে বড় লক্ষ্মী। যে কোনও  রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যত বেশি ক্রেতা থাকে, ততই সেই অর্থনীতি তথা বাজার উজ্জ্বল হয়। আর ভারতে ৫৭ কোটি মধ্যবিত্ত সেই অনুঘটকের প্রধানতম প্রতিনিধি। শিল্পমহল থেকে বণিকসভা। দেশি-বিদেশি আর্থিক সংস্থা অথবা বাণিজ্য সংগঠন। সকলেই করোনাকালের পর থেকে মোদি সরকারের কাছে বারংবার আর্জি রেখেছিল, মধ্যবিত্তের হাতে নগদ টাকা দিতে হবে। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দফায় দফায় এই প্রয়োজনীয়তার কথা শুনিয়েছে। কারণ মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং ট্যাক্সের চাপে মধ্যবিত্ত কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নানাবিধ স্লোগান, জুমলা এবং আত্মগর্বে নিমজ্জিত সরকার মধ্যবিত্তকে উপেক্ষা করেছে। অবশেষে ১০ বছরের খরা কাটল। মোদি সরকার অর্থনীতি বাঁচাতে ভরসা রাখল ভারতের বাণিজ্যলক্ষ্মী মধ্যবিত্তে। শনিবার দুপুর থেকেই শিরোনামে বাজেট এবং আয়করে একঝাঁক ছাড়। নতুন অর্থবর্ষের প্রাক্কালে সবথেকে বড় উপহার হল, ১২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর হবে শূন্য। করদাতাদের মধ্যে এই সংখ্যাটাই সবথেকে বেশি। আয়করের স্ল্যাব বদলে দিয়ে এবার ৮ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় পর্যন্ত প্রায় সব ধাপের করদাতাদেরই সুরাহা দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ১২ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের বৃত্তে থাকা মানুষের অতিরিক্ত ৮০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর সাশ্রয় হবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হবে ৭৫ হাজার টাকার। অর্থাৎ, ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা যাঁর বার্ষিক আয়, তাঁকে আয়করই দিতে হবে না।
মোদি সরকারের কাছে আম জনতার প্রত্যাশা ছিল তিনটি। আয়করে ছাড়, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি এবং কর্মসংস্থানের দিশা। প্রথমটি পাওয়া গেলেও মূল্যবৃদ্ধি-কর্মসংস্থান নিয়ে বাজেটে কোনও রূপরেখা দেখা গেল না। এতদিন ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হতো না। এদিন ৭ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ের ব্র্যাকেটে থাকা মধ্যবিত্ত হিসেব কষতে বসেছে, বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে কী করা যায়? কেউ ভেবেছেন সঞ্চয় বা বিনিয়োগের কথা। কেউ আবার ভাবছেন, ইএমআইয়ের টাকাটা উঠে এল। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান? দিশা নেই। সম্ভবত সেই কারণেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী আয়করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তের হাতে নগদের জোগান বাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। কারণ উদ্বৃত্ত টাকা হাতে থাকলে মধ্যবিত্ত তা ব্যয় করবে বাড়ি-গাড়ি-ভোগ্যপণ্যে। তখনই বাজারে সেই টাকা আবর্তিত হবে। থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। 
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের রকেটগতির রাশ যদি টানা না যায়, তাহলে এই অতিরিক্ত অর্থ একসময় সিন্ধুতে বিন্দু হয়ে যাবে। সেই রাশ টানার দীর্ঘ অথবা স্বল্পমেয়াদি কোনও পরিকল্পনা লক্ষ্য করা গেল না বাজেটে। কর্মসংস্থানের নীতি কী? লোন নাও, ব্যবসা করো, রোজগার বাড়াও। তাই ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য ক্রেডিট কার্ড, মহিলা বা অনগ্রসররা নতুন ব্যবসা শুরু করলে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন, সমবায়ের মাধ্যমে ঋণ, এমএসএমই সেক্টরে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা লোন। কিন্তু উৎপাদন সেক্টরের বৃদ্ধি? কোনও রোডম্যাপ নেই। বাজারের দাম কীভাবে কমবে? তারও উত্তর নেই। 
আয়করে বিপুল ছাড় দেওয়ার ফলে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি লোকসান হবে সরকারের। সেই টাকা আসবে কীভাবে? সরকারের আশা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ডিভিডেন্ড বাড়িয়ে ভরপাই করে দেবে। এছাড়াও বাজেট প্রস্তাবে একটি তথ্য আছে—এলপিজি ভর্তুকি ২ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তাহলে তেল সংস্থাগুলি এই লোকসান সামলাবে কীভাবে?  পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি কি এবার সময়ের অপেক্ষা? 
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৭৮ টাকা৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৬০ টাকা১০৯.৩৩ টাকা
ইউরো৮৮.১০ টাকা৯১.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা