বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ

বাঁকুড়ায় ধান বিক্রিতে হয়রানি, বাড়ছে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় সরকারি সহায়মূল্যে ধান বিক্রি করতে চাষিদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীর্থের কাকের মতো কিষান মান্ডিতে গিয়ে চাষিদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কথা দেওয়ার পরেও খাদ্যদপ্তর বা রাইস মিল কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত দিনক্ষণ মেনে শিবিরে উপস্থিত হচ্ছে না বলে চাষিদের অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রানিবাঁধের চাষিরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। জেলার অন্যান্য ব্লক এলাকা থেকেও ওই ধরনের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। এভাবে চাষিদের হয়রানি করলে বাধ্য হয়ে অনেকে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করবেন বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। ফলে এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট মহল দাবি করেছে। 
বাঁকুড়ার খাদ্য নিয়ামক শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, আমরা ইতিম঩ধ্যেই জেলায় ৫১ হাজার ২৩১ জন চাষির কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন ধান কিনে ফেলেছি। শিবিরগুলিতে অনেক রাত পর্যন্ত রাইস মিলের শ্রমিকরা কাজ করছেন। সেই কারণে পরের দিন সকাল সকাল শিবিরে তাঁরা যেতে পারছেন না। কিছুটা দেরি হচ্ছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগে চাষিরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। পরে সরকার ধান, পাট সহ একাধিক ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি) চালু করে। ওই সহায়কমূল্যে যাতে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন, তা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে নিশ্চিত করতে হয়। এরাজ্যে সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এবছর আমন ধানের কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা দাম ধার্য হয়। চাষিরা কিষান মান্ডি তথা স্থায়ী সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে তা পৌঁছে দিলে কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার জেলা খাদ্যদপ্তর ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান কম কিনতে চলেছে। গতবছর আমনের মরশুমে জেলায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এবার তা কমিয়ে ২ লক্ষ ৯২ হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে।
বাঁকুড়ায় এবার মোট ৪১টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তারমধ্যে ৩৪টি স্থায়ী এবং সাতটি ভ্রাম্যমাণ ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। গতবার ২৯টি স্থায়ী ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ মিলিয়ে জেলায় মোট ৩২টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। বেশি ধান উৎপাদন হয় এমন ব্লকে রাজ্য সরকার কিষান মান্ডি নির্মাণ করেছিল। প্রথম দিকে অবস্থানজনিত কারণে অনেকেই মান্ডিমুখী হয়নি। তবে ধীরে ধীরে মান্ডিগুলি জনপ্রিয় হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ফলে সেখানে ধান কেনার শিবির করা হচ্ছে। ওইসব জায়গাতেই ধান কেনা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলে চাষিরা সরব হয়েছেন। 
রানিবাঁধের বাসিন্দা সুকুমার মাহাত, ওন্দার পরেশ মণ্ডল বলেন, স্থায়ীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ক্রয় কেন্দ্রগুলিও ঠিকমতো কাজ করছে না। আগাম দিনক্ষণ ঘোষণা করেও খাদ্যদপ্তরের লোকজন ধান কিনতে গড়িমসি করছে। ফলে বাধ্য হয়েই চাষিরা ফড়েদের কাছে যাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। - নিজস্ব চিত্র
12h 12m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.১০ টাকা৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড১০৪.৪১ টাকা১০৮.১১ টাকা
ইউরো৮৭.০৫ টাকা৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা