ব্ল্যাকবোর্ড

বরফঘেরা বাবামন্দির

গাড়ির সামনে মেঘের চাদর। ঘন কুয়াশার মধ্যে সামনে কী আছে, বোঝা দায়। ‘হেয়ারপিন’ বাঁকে গাড়ি টার্ন নিচ্ছে নিজস্ব ছন্দে। গন্তব্য বাবামন্দির। নাথু লা যাওয়ার সময় একটা রাস্তা চলে গিয়েছে ওল্ড বাবা মন্দির ও বাবা হরভজন সিংয়ের বাঙ্কারের দিকে। প্রথমবার গ্যাংটকে যাওয়া অনেকেরই ধারণা, বাবামন্দির মানে শিবমন্দির। আসলে ‘বাবা’ কথাটার সঙ্গে মহেশ্বরকে সহজেই মেলানো যায়। সম্ভবত সেই কারণেই...। আদতে বিষয়টি অবশ্য তেমন নয়। চীন সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন বাবা হরভজন সিং। সালটা ১৯৬৮। অক্টোবর মাস। সেনাবাহিনীর ধারণা, রাস্তা থেকে বোল্ডার সরানোর সময় তিনি ধসের সঙ্গে ঝর্ণার জলে ভেসে যান। শোনা যায়, সেইসময় রাতে এক জওয়ানের স্বপ্নে এসে নিজের সমাধি বানানোর কথা বলেছিলেন পাঞ্জাব রেজিমেন্টের এই সেন্ট্রি। তখনই সিল্ক রুটের নাথাং ভ্যালিতে তাঁর বাঙ্কারের কাছে তৈরি হয় বাবামন্দির। সেনাবাহিনীর বিশ্বাস, হরভজন সিংয়ের আত্মা আজও সীমান্তে দেশরক্ষায় টহল দিচ্ছেন। এই মন্দিরের প্রসাদ মুঠোমুঠো কিশমিশ। সেখান থেকেই সিঁড়ি ভেঙে আরও উপরে উঠে বাঙ্কার। সেখানে রাখা রয়েছে তাঁর পোশাক, জুতো, উর্দি, পাগড়ি থেকে শুরু করে ব্যবহৃত সব সামগ্রী। বাহিনীর আঁটসাঁট নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকা এই মন্দিরের বাড়তি পাওনা অনবদ্য প্রাকৃতিক শোভা।
সর্পিল পথ বেয়ে ওল্ড বাবামন্দির থেকে প্রায় আধঘণ্টা নীচে নামলে নিউ বাবামন্দির। ১৯৮২ সালে তৈরি এই মন্দিরের উদ্দেশ্যই ছিল পর্যটকদের কাছে হরভজন সিংয়ের মাহাত্ম্য তুলে ধরা। কারণ ডিসেম্বর থেকে প্রবল তুষারপাত বা ধসের কারণে ওল্ড বাবামন্দির চত্বরে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই জন্য কিছুটা নীচে নাথু লা এবং জেলেপ লা’র মাঝে তৈরি হয় নিউ বাবামন্দির। যে সমস্ত পর্যটক ওল্ড বাবামন্দিরে যেতে পারেন না, তাঁরা এই মন্দিরে মাথা ঠেকান।
20d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৪৩ টাকা৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.১৭ টাকা১০৮.৯১ টাকা
ইউরো৮৭.০৬ টাকা৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা