যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, এক্সিট পোল নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। মানুষ আসলে কোন দলকে বেশি ভোট দিয়েছেন তা ২৩ মে দেখা যাবে। গণনার দিন রায়গঞ্জে চারটি বিধানসভা এলাকা থেকে ও ইসলামপুরে তিনটি বিধানসভা এলাকা থেকেই আমাদের কর্মীরা জড়ো হবেন। আমাদের এজেন্টরা ২২ তারিখ রাতেই চলে আসবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্যকে এক্সিট পোল সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ওদের কাজ ওরা করেছে। আগে ফলাফল বের হোক। তবে জয়ের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আমাদের নিজস্ব হিসেব আছে। সেটাতেই আস্থা রাখছি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তও এক্সিট পোলকে মান্যতা দিতে নারাজ। তিনিও ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পক্ষে। তবে ভোট গণনার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি কংগ্রেস নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর দুই জায়গাতেই আমাদের গণনার এজেন্টরা থাকবেন। আমরা তাঁদের এক প্রস্থ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আরও একবার তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, গতবার তো এক্সিট পোলে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে আমরাই জয়ী হয়েছিলাম। আমরা চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আমাদের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে ২২ মে বসব।
সাত দফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হতেই এখন এক্সিট পোল নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে। রায়গঞ্জ শহর থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জের যে কোনও জায়গায় এখন এক্সিট পোলই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলগুলির হারজিতকে কেন্দ্র করে এই এক্সিট পোল সেই রাজনৈতিক দলগুলিই কিন্তু এক্সিট পোলের উপরে আস্থা রাখছে না। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে গত নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারণ হয়েছিল মাত্র ১৬৩৪ ভোটে। গতবারের মতো এবারও এই কেন্দ্রে চর্তুমুখী লড়াই হবে। এবার এই কেন্দ্রে বিজেপি পালে হাওয়া ভালো রয়েছে বলে নির্বাচনের শুরুর সময় থেকেই চর্চা ছিল। প্রচারে নেমে সেই হাওয়াকে আরও চাঙ্গা করেছেন প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি। অপর দিকে, তৃণমূল কংগ্রেস তার শক্ত সাংগঠনিক শক্তির উপরে দাঁড়িয়ে লোকসভা নির্বাচন করেছে। তাদের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালও জেলাজুড়ে প্রচার চালিয়েছেন। এই কেন্দ্রে গতবারের বিজয়ী বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জেলাজুড়ে ছোট ছোট মিটিং করে এক অভিনব কায়দায় প্রচার চালিয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি এই কেন্দ্রে তাঁর পুরানো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁর প্রচার সেরেছেন। ফলে এই কেন্দ্রে কেউ কাউকে বিনা যুদ্ধ সূচাগ্র জমিও ছাড়ছেন না তা ধরেই নেওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে ভোটদান শেষ হতেই এক্সিট পোলের দিকে নজর ঘুরেছে সকলের। রাজনৈতিক নেতারাও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু তাঁরা কোনও ভাবেই এক্সিট পোলের উপরে আস্থা প্রকাশ করছেন না। তাঁদের দাবি, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই তাঁরা যা কিছু বলার বলবেন।