যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সপ্তদশ লোকসভা ভোটে শুধু কেন্দ্রের শাসক জোটের বিরুদ্ধে নয়, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে তাঁদের। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির বর্ধিত অফিস হয়ে উঠেছিল কমিশনের দপ্তর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কেন্দ্রের শাসকদলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি। শুধু তৃণমূলই নয়, দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দল একই সুরে কমিশনের ভূমিকার সমালোচনায় সরব হয়েছে। স্বভাবতই, ভোট গণনাতেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন মমতা। দলের পক্ষ থেকে তাই ভোট গণনা নিয়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না রাজ্যের শাসকদল।
তৃণমূলের সাত দফা নির্দেশিকায় ইভিএম মেশিনের সিল পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কোনও কেন্দ্রের সব পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে মেশিন সিল করা হয়। তার সাক্ষী হিসেবে সিলের উপরে সই করতে হয়। তৃণমূলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেই সিল যথাযথ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে তবেই যেন তা ভাঙা হয়। এব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পোলিং এজেন্টদের ইভিএম-এর কাজ শেষ হলেও ভিভিপ্যাট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে থাকতে হবে। ফল প্রকাশের পর সার্টিফিকেট না দেওয়া পর্যন্ত কেউ গণনাকেন্দ্র ছাড়তে পারবেন না। দলের পক্ষ থেকে খাদ্য এবং পানীয় জল পাঠানো হবে। সেই খাবার ও পানীয় ছাড়া অন্য কেউ কিছু দিলে, তা গ্রহণ না করার কথাও ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। যে যেখানে যে দায়িত্বে রয়েছেন, সেখানে থেকে কোনও মতেই সরে যাওয়া চলবে না। কোনওরকম গোলমাল বা রটনায় নজর না দিয়ে নিজের উপর ন্যস্ত কাজের দায়িত্ব অটল থাকতে হবে। কোনও প্ররোচনাতেই গণনা টেবিল ছেড়ে যাওয়া চলবে না। অর্থাৎ এজেন্টরা যাতে কোনও মতেই অন্যমনস্ক না হয়ে পড়েন, সেদিকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে তৃণমূলের নির্দেশিকায়।
প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের বাইরে, কমিশন নির্দিষ্ট দূরত্বে দলের পক্ষ থেকে ক্যাম্প করা হচ্ছে। সেখানে দলীয় কর্মীদের জমায়েত নিশ্চিত করতে হবে। ভোট পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন সত্ত্বেও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। ভোট গণনা কেন্দ্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে হাঙ্গামা বাধাতে পারে বিজেপি। এই আশঙ্কা থেকেই ভোটগণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের বড়সড় জমায়েত রাখতে হবে।