যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এই শহরের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব নাট্যচর্চা থেকে গান, বাজনা, অভিনয়, সাহিত্যচর্চা, লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বারবার সুনাম কুড়িয়েছেন। শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অনেকেই একে অন্যের পরিচিত। অনেকেই কর্মসূত্রে এই শহরে আসেন। তবে ক্রমশ অচেনা মুখের যুবক, যুবতীদের ভিড় বাড়ছে এই শহরে। ভাড়া বাড়িতে, ফ্ল্যাটে, হোটেলে তাঁরা থাকছেন, তাঁদের অনেকের সম্পর্কে পুলিসের কাছে কোনও তথ্য নেই। শহরের একাধিক বাড়িতে নতুন নতুন মেয়েদের আনাগোনা ও তাদের কাজকর্ম সম্পর্কেও অনেকে ওয়াকিবহাল হলেও ঝামেলার ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না। কেউ কেউ ফ্ল্যাট ভাড়া করে, আবার কেউ বাড়ি ভাড়া করে দেহব্যবসা চালিয়ে মোটা টাকা কামাচ্ছে বলে অভিযোগ। যুবতীদের কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে শহরের বিভিন্ন বাড়িতে রাখা হয়। তারপর তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হয়।
মাসখানেক আগে শহরের মোহন্তপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে মধুচক্র চালানোর সময় তিন যুবতী সহ কয়েকজন যুবককে পুলিস আপত্তিকর অবস্থায় গ্রেপ্তারও করেছে। গত দুর্গাপুজোর আগে জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার এক মহিলা দেহব্যবসায় জড়িত থাকায় খদ্দেরদের হাতেই খুন হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ইদানীং কমবয়সি স্কুল, কলেজ পডুয়া মেয়েদের টার্গেট করে তাদের ওই ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি শহরে এই ধরনের কারবারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বুদ্ধিজীবী মহল। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোগবাদী মানসিকতা সমাজের একাংশের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে। পুলিস প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত। নাট্যকর্মী পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, এধরনের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া দরকার। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, প্রভাবশালীদের ভয়ে পুলিস সঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় ব্যাভিচার বেড়ে চলেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, পুলিসের এটা দেখার বিষয়। নাগরিকরা আমাদের কাছে গোপনে খবর দিলেও আমরা পুলিসের নজরে আনব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ওই ধরনের কারবারে যেই থাকুক, পুলিসের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফ্ল্যাট কালচার, একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে যাওয়ায় অনেকেই বিপথগামী হচ্ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।