যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
মোটর ভেহিকেলস বিভাগ সূত্রের খবর, ভোটকর্মীদের যাতায়াতের জন্যই বেসরকারি বাস রিক্যুইজিশন করা হয়েছিল। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের জন্য ৩০৫টি মিনিবাস এবং ২৮৪টি সাধারণ বাস নেওয়া হয়। ছোট গাড়ি দরকার পড়েছিল ১৯৩টি। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের জন্য ২২৩টি মিনিবাস এবং ১২৫টি সাধারণ বাস নেওয়া হয়। ছোট গাড়ি দরকার পড়ে ২৫০টির কিছু বেশি।
মোটর ভেহিকেলসের এক কর্তা বলেন, পরিকল্পনা মাফিক সব কিছু ঠিক মতো এগচ্ছিল। প্রয়োজন অনুযায়ী বাস-গাড়ি রিক্যুইজিশন করা এবং সেগুলির তথ্য ‘সুগম’ অ্যাপে আপলোড করে দেওয়া হয়। কিন্তু, কয়েকদিন আগেই দেখা গেল, আমাদের রিক্যুইজিশন করা বাস পাল্টা রিক্যুইজিশন করতে শুরু করে পুলিস। তাতেই গোটা পরিকল্পনা মার খায়। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তারা কয়েকটি বাস ছাড়লেও ভোটের দিন পর্যন্ত প্রায় ৬০টি বাস ছাড়েনি।
তাহলে কলকাতার দু’টি কেন্দ্রে বাসের ঘাটতি মেটানো হল কীভাবে? ওই কর্তা বলেন, আমরা প্রয়োজনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি যান রিক্যুইজিশন করেছিলাম। তাতেই রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। কিছু বাস বা গাড়ি রিজার্ভ রাখা হয়, মূলত কোনও বাস বা গাড়ি খারাপ হলে বদলে দেওয়ার জন্য। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রিজার্ভের গাড়ি ব্যবহার করতে হয়েছে। কোনও বাস বা গাড়ি বিগড়ে গেলে বদলে দেওয়ার মতো বিকল্প হাতে প্রায় ছিল না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যেখানে সাধারণ বাস দেওয়ার কথা, সেখানে মিনিবাস, যেখানে মিনিবাস দেওয়ার কথা সেখানে গাড়ি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের জন্য ১৫টি সরকারি বাস নেওয়া হয়েছিল।
কী বলছেন বাস মালিকরা? অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি বেশ গুরুতর। যেসব বাস মোটর ভেহিকেলস বিভাগ রিক্যুইজিশন করেছিল, তার ৫০ শতাংশ ভাড়া অগ্রিম মিটিয়ে দিয়েছে। পুলিস সেসব অগ্রাহ্য করে বহু বাস রুট থেকে তুলে নিয়েছে। এবার আমরা কী করব? আমাদের দোষ কোথায়?
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়েছি। মোটর ভেহিকেলসের রিক্যুইজিশন করা বহু বাস পুলিস তুলে নিয়েছে কার্যত জোর করে। মোটর ভেহিকেলস ভাড়ার অর্ধেক দিয়ে দিয়েছিল। এবার কী হবে জানি না।
বাস নিয়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ভোট মিটে গেলেও সোমবারও নিয়মিত রুটে স্বাভাবিক ছিল না বাসের সংখ্যা। মালিকদের বক্তব্য, পুলিস যেসব বাস নিয়েছে, সেগুলি এখনও ফেরেনি। বাকিগুলির ক্ষেত্রে ভোটের কাজ করার পর এদিন বাস চালাতে পারেননি অনেক শ্রমিকই। আজ, মঙ্গলবার থেকে রুটে বাসের সংখ্যা স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস তাঁদের।