যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি শহরে বামেদের দখলে থাকা পাঁচটি ওয়ার্ড থাকলেও সেই ওয়ার্ডগুলিতে বামেদের ভোট বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে। একথা মেনে নিয়ে দলের এক কাউন্সিলার বলেন, আমাদের ভোটাররা লোকসভা ভোটের দিন সরাসরি বিজেপিতে ভোট দিয়ে শাসকদলকে শায়েস্তা করতে চেয়েছেন, সেকথা তাঁরা অনেকেই প্রকাশ্যেও জানিয়েছেন। এক কাউন্সিলারের কথায় ভোটাররা আমাকে বলেছেন, পুরভোটে তারা আমাদের প্রার্থীকেই জয়ী করবেন। কিন্তু বাম থেকে রামের পক্ষে ভোট দেওয়া সেই ভোটারদের মধ্যে আগামী একবছর পর জলপাইগুড়ি পুরভোট হলে আদৌ কি তাদের ভোট ফেরানো যাবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন দলের কাউন্সিলার থেকে বিভিন্ন নেতাদের কাছেও। প্রায় দু’বছর আগেও ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। আগের পুরবোর্ডে সিপিএমের চার কাউন্সিলার থাকলেও গত পুরসভা নির্বাচনে একজনও সিপিএমের কাউন্সিলার জয়ী হননি। এমনকী ১৬টি ওয়ার্ডে বাম প্রার্থীদের ভোট মারাত্মকভাবে কমে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। বিজেপি গত পুরসভা নির্বাচনে চারটি আসনে জয়ী হয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার বিরোধী আসনে এখন রয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভায় ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি আসনের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেস, পাঁচটি করে আসনে কংগ্রেস ও সিপিএম দলের দখলে রয়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি একটি আসনও পায়নি। কিন্তু ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচন থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের থেকে বিজেপিই সর্বত্র এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে বিজেপিই জলপাইগুড়িতে নিজেদের ভিত ক্রমশ শক্ত করেছে। বামেরা গত লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় শক্তি হলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থীর পালে সেই হাওয়া ওঠেনি। বামেদের শক্তি ক্রমশ ক্ষয়ে গিয়ে জলপাইগুড়িতে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ঠিক এক বছর পরেই জলপাইগুড়ি পুরসভা নির্বাচন হবে। লোকসভা ভোটের ফল বেরোতেই সব রাজনৈতিক দল জপপাইগুড়ি পুরসভাকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কিন্তু পুরসভা ও পঞ্চায়েত স্তরের ভোটে লড়তে নিজের এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি থাকাটা খুবই জরুরি। সিপিএম আগের মতো ডাকলেই হাজার হাজার ছাত্র যুব থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা তাদের সভায় ভিড় করেন না। সাংগঠনিক দুর্বলতার সুযোগে যেটুকু শক্তি রয়েছে, সেটিও ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাম শিবিরকে ভাঙিয়ে শুরুর দিকে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের অনেককেই দলে ভিড়িয়েছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের অবশিষ্ট সাংগঠনিক অনেকটা শক্তি গেরুয়া শিবিরমুখী হয়েছে। ফলে বামেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেই হিসেব কষা শুরু হয়েছে।