যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই যুবককে বাড়ির কিছু জিনিস নিয়ে বের হতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে তাড়া করে জনতা। রাতে ওই যুবক আবার এলাকায় ঢুকলে চোর অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত করে যুবকের মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে তপন থানার পুলিস।
তপন থানার ওসি অভিষেক তালুকদার বলেন, এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসবাদ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই পুরো ঘটনা সামনে আসবে।
মৃত যুবকের বাবা যোগেশ হাঁসদা বলেন, আমার ছেলেকে যারা নির্মম ভাবে খুন করল তাদের ফাঁসি চাই। আমার ছেলে কোনও দিন চুরি করতে পারে না। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগেশবাবুর মেজো ছেলে সৌমেন পেশায় শ্রমিক ছিলেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি শূলপাণিপুর এলাকায় থাকতেন। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। রবিবার সকালে গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে জল খেতে ঢোকেন সৌমেন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, জল খাওয়ার নাম করে সে ওই বাড়ি থেকে কলসি চুরি করে। ঘটনাটি দেখেই লোকজন তাঁকে তাড়া করে। কিন্তু তাঁকে ধরা যায়নি। গ্রামে ক্ষোভ জমে থাকে। সকলে সৌমেনের অপেক্ষায় থাকে। সন্ধ্যে হতেই সৌমেন বাড়ি ফেরার জন্য গ্রামে ঢুকতেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে আটকে রাখে। সৌমেনের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা বাধে। হঠাৎ লোকজন উত্তেজিত হয়ে সৌমেনের উপর চড়াও হয়। তাঁকে এলোপাথারি মারধর শুরু করে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। বুকের ভেতরে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সৌমেন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হতেই দেখা যায় সৌমেনের দেহে প্রাণ নেই। ওই অবস্থায় তাঁকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিস পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পরিবারে তরফে ১০ জনের নামে খুন করার অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিস তিন জনকে আটক করেছে। ঘটনায় গ্রামে একই সঙ্গে শোক ও পুলিসের ভয় ছড়িয়েছে।