যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর মধ্যে চতুমুর্খী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যদিও ভোট পরবর্তী সময়ে বুথ স্তর থেকে বিধানসভা ভিত্তিক রিপোর্ট নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতাদের দাবি ভোটে লড়াই হয়েছে মূলত তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপিরই। ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকার ক্যাম্প অফিস থেকে শুরু করে পরবর্তী কালে বুথ স্তরে থেকে উঠে আসা বিভিন্ন দলের রিপোর্টে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিজেপির লড়াইয়ের চিত্র পরিষ্কার হয়েছে। ভোটের দিন একাধিক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে বিজেপির বুথ ক্যাম্পে ফরওয়ার্ড ব্লকের একাধিক প্রথমসারির নেতাকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে। ঝালদা-১ ব্লক এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন এক সংসদ সদস্যের ছেলেকেও বিজেপির ক্যাম্প অফিসে সময় কাটাতে দেখা যাওয়ায় জল্পনা আরও বেড়েছে। জেলার একাধিক এলাকায় কংগ্রেস ও বামেরা আলাদা ক্যাম্প অফিস পর্যন্ত করেনি। আবার ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়াও সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের অনেকেই তৃণমূলকে হারাতে গেরুয়া শিবিরকেই কাছে টেনে নিয়েছেন।
যদিও ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বীরসিং মাহাত বলেন, বামেদের ভোট বিজেপির দিকে যাওয়ার বিষয়ে জল্পনা থাকলেও তা সত্যি নয়। বামপন্থীরা কেন বিজেপিকে ভোট দিতে যাবে? তাছাড়া ভোট প্রচার পর্বে বামফ্রন্টের প্রায় সব নেতাই এবিষয়ে প্রকাশ্য সভায় কর্মীদের বারবার সতর্ক করেছেন। তারপরেও নিচুতলার বামপন্থীরা এধরনের ভুল করতে পারে না। তবে এখনও বুথস্তর থেকে রিপোর্ট পাইনি।
এবিষয়ে সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, বামপন্থী কর্মী এবং নেতারা ‘রেজিমেন্টেড’। তবে ভোটাররা তো আর কোনও দলের রেজিমেন্টেড হয় না। ভোটাররা নিত্য নতুন ইস্যু নিয়ে নিজেদের মত পরিবর্তন করেন। তবে এবিষয়ে এখনও কিছু বিস্তারিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল বিরোধী হিসেবে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের একাংশ যে বিজেপিকে বেছে নিয়েছে তাতে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। তবে সব তো আর বিজেপিকে ভোট দেয়নি। কংগ্রেসের ভোটের অধিকাংশ নেপালবাবু ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এবিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, এবারের ভোটে তৃণমূল বিরোধীরা বিজেপি ছাড়া অন্যদলকে ভোট দিয়ে নিজেদের ভোট নষ্ট করতে চাননি। এমনকী, তৃণমূলের অনেক তাবড় নেতার বাড়ির লোকও বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কংগ্রেস বা ফরওয়ার্ড ব্লক দল এবারের ভোটে লড়াইয়ে আসতে পারবে না। আমাদের জয় এখানে নিশ্চিত।
যদিও তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হলেও পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। বিরোধীদের ভোট এক জায়গায় আসার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলাতেই লড়াই করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। বাকি বিরোধীদের ভোট পেলেও বিজেপি পুরুলিয়া কেন্দ্রে কিছু সুবিধা করতে পারবে না।