যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, দিনহাটার সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্রটি অত্যাধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। শুধু সদন নয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের টাকায় দিনহাটায় রাস্তা, পথবাতি সহ বিভিন্ন কাজ হচ্ছে। দিনহাটা পুরসভার চেয়্যারমান তথা স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ বলেন, ৮ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অডিটোরিয়ামটি নতুনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। ভোটপর্ব শেষ হলেই ভবনটি উদ্বোধন করা হবে।
দিনহাটার নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি সদনটি দীর্ঘদিন ধরেই আধুনিকীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় সংস্কৃতিপ্রেমীরা। মহকুমার বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল, অরাজনৈতিক সংগঠন এই ভবনটিতেই তাদের অনুষ্ঠান করেন। কিন্তু শীততাপ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় গরমের দিনে অনুষ্ঠান করতে অসুবিধা হতো। এরপরেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ভবনটি আধুনিকীকরণে উদ্যোগী হয়। দপ্তর টাকা বরাদ্দ করতেই গত বছর মে মাস থেকে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ভবনটির খোলনলচে বদলানোর কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ভবনটিকে সম্পূর্ণভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম বসানো হয়েছে। জরাজীর্ণ চেয়ারগুলি পাল্টে পাঁচ শতাধিক আধুনিক ও আরামদায়ক চেয়ার বসানো হয়েছে। আগের ম্যাড়মেড়ে সাউন্ড সিস্টেম পাল্টে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম বসানো হয়েছে। মঞ্চসজ্জায় রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। নতুন প্রযুক্তির স্পর্শে পুরনো আমলের দড়ি টেনে পর্দা ওঠানো নামানোর যুগের অবসান হয়ে নতুন মঞ্চে স্যুইচ টিপে পর্দা উঠা-নামা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমগ্র হলকে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ভবনের বাইরেও সংস্কার করে নতুনভাবে রং করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আধুনিক প্রোজেক্টরও বসানো হয়েছে। কলকাতার আধুনিক মঞ্চ আর এই মঞ্চের কোনও পার্থক্য নেই। এখন এই ভবনে আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান করা যাবে। ভবনটির সামনে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের নতুন মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। কলকাতার শিল্পীরা ফাইবার কাচ দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করছেন। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বড় একটি জেনারেটরও কেনা হয়েছে। কোচবিহার রাজবাড়ির অনুকরণে ভবনটির রং করা হয়েছে।