যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এদিন প্রশিক্ষণ হয়েছে। সর্বদলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেছি। বিভিন্ন দলের দাবি দাওয়া শোনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিস সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছি।
কংগ্রেসের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই কাউন্টিং হলে আমাদের কর্মীরা যাতে আক্রান্ত না হয় সেই বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিজেপির বোলপুরের প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছি।
হাতে মাত্র দু’দিন রয়েছে। তারপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ২৩মে গণনার দিন। গণনা পর্বে কোনওরকম ভুল-ত্রুটি হলেই বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে বলে তা বিলক্ষণ জানে কমিশনও। তাই সজাগ কমিশন এদিন রীতিমতো ম্যারথন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে সিউড়ি ডিআরডিসি হলে। দুটি অর্ধে প্রায় ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কাউন্টিং সুপারভাইজার, কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, কাউন্টিং মাইক্রো অবজার্ভার, সবাই প্রশিক্ষণ হয়। মেশিন সিল করা ফর্ম ফিলআপ, সংযুক্তিকরণ সবই খুটিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মূল দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক(এলআর) পূর্ণেন্দু মাজি। হাজির ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।
অন্যদিকে এদিন বিকেলে সিউড়ি জেলাপ্রশাসন ভবনে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের জেলা প্রতিনিধিরা। সেখানেই নিরাপত্তা জনিত বিষয়টি সামনে আসে। বোলপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট রবিউল ইসলাম প্রথমে বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন সময়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জানিয়েও প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। তাই কাউন্টিং হলে আমাদের এজেন্টরা আক্রান্ত হবে না তো? বিজেপিও এই দাবিকে সমর্থন করে। যদিও পুলিস সুপার নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি নজর রয়েছে কমিশনেরও। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে ভোট গণনার দু’দিন আগে থেকেই স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করেছে কমিশন। নিরাপত্তার জন্য দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পর্যাপ্ত মনে করছে না কমিশন। তাই আরও এক কোম্পানি বাহিনী আসছে জেলায়। এদিনই তাদের জেলায় চলে আসার কথা। পুলিস সুপার বলেন, দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই ছিল। আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় আসছে।