যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
টিভি দেখা এবং তার খরচের স্বচ্ছতা আনতে নয়া নিয়ম চালু করে ট্রাই। ২০১৭ সাল থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হলেও, তা কার্যকর করা হয় সম্প্রতি। সেখানে ট্রাই সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে জোর দেয়, তা হল, দর্শক যে চ্যানেল দেখবেন, পয়সা মেটাবেন শুধু তার জন্য। টিভিতে একসঙ্গে প্রচুর চ্যানেল সম্প্রচার করা হয়। কিন্তু তার জন্য বড় অঙ্কের দাম দর্শকের থেকে নেওয়া চলবে না, এটাই জানায় তারা। দর্শক কোন চ্যানেল দেখবেন, তা যেমন তিনিই ঠিক করবেন, তেমনই সেইসব চ্যানেলের দাম কত, তাও জানাতে হবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং কেবল সংস্থাকে, নির্দেশ দেয় ট্রাই। দর্শকের একটি অংশের অভিযোগ, তাঁদের পছন্দের চ্যানেল বাছাইয়ে এখনও স্বাধীনতা দিতে রাজি নয় কেবল সংস্থাগুলির একাংশ। তারা তাদের ইচ্ছামতো চ্যানেল নিতে একপ্রকার বাধ্য করছে দর্শকদের। অভিযোগ দায়ের হয় ট্রাই’য়েও। তারপরও একাধিক সংস্থাকে সেই সমস্যা মেটাতে নির্দেশ দেয় তারা। এমনকী নানাভাবে ট্রাইয়ের নিয়ম না মেনে চলায়, একাধিক ডিটিএইচ সংস্থাকে তা শুধরে নেওয়ার নির্দেশ দেয় তারা।
কিন্তু এত কিছুর পরেও আদৌ সুরাহা কতটা হল, তা সরেজমিনে দেখতে চায় ট্রাই। এই বিষয়ে সমীক্ষাকারী সংস্থা নিয়োগ করতে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপন দিয়ে দিয়েছে তারা। তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্রও, যেগুলির উপর ভিত্তি করে সমীক্ষা চালাবে ট্রাই নির্বাচিত সংস্থাগুলি। উল্লেখযোগ্য প্রশ্নগুলি হল, গ্রাহক তাঁর পছন্দের চ্যানেল বাছাই করতে পারছেন কি না, চ্যানেল পছন্দ করার প্রক্রিয়াটি সহজ বা গ্রাহক-বান্ধব কি না, সংশ্লিষ্ট সংস্থা চ্যানেল পছন্দ করার জন্য বিভিন্ন বিকল্প দিকগুলি সম্পর্কে গ্রাহককে অবগত করছে কি না, কতদিনে পছন্দের চ্যানেল চালু হয়েছে, পছন্দের চ্যানেল বদলাতে ইচ্ছা হলে, গ্রাহকের সেই ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না, চ্যানেল বাতিল করা সম্ভব হচ্ছে কি না, ১০০টি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেল বাছাইয়ের সুযোগ থাকছে কি না, আ-লা-কার্টা পদ্ধতি অবলম্বন করার সুযোগ থাকছে কি না, একই চ্যানেল দু’বার আসছে কি না, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা ব্রডকাস্টারের চ্যানেলগুচ্ছ নেওয়ার সুযোগ থাকছে কি না, সংস্থার ওয়েবসাইট কাজ করছে কি না, আলাদা করে কোনও সংস্থা টাকা চাইছে কি না বা চাইলে কত টাকা চাইছে প্রভৃতি।
আগামী ২৭ মে’র মধ্যে সমীক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার কথা। তারপরই দর্শকের কাছে পৌঁছবে সেই সমীক্ষাকারী দল। এত কাণ্ডের পর কতটা সহজ হয় টিভি দেখার নতুন প্রক্রিয়া, এখন সেটাই দেখার।