নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এজেন্ট বসা নিয়ে রবিবার সকালে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ঝামেলা হয়। বিকেলের পর আবারও এজেন্ট বসা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। এমনকী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও ওঠে। ঘটনাস্থলে কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় ইব্রাহিম শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে। তাকে ভোটকেন্দ্র থেকে সরাতে গেলে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় সন্ধ্যায়। সেই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কুলতলি থানার পুলিসকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘিরে তপ্ত হয়ে থাকল কুলতলির জালাবেরিয়া-১ পঞ্চায়েতের ৭০ নম্বর বুথে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুহিনা ঢালির নেতৃত্বে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের প্রথমে বচসা হয়। তারপর পুলিসকে হেনস্তা করা হয়। ঘটনায় শাসকদলের কর্মীদের হাতে কুলতলি থানার দু’জন সাব ইন্সপেক্টর সহ চারজন কনস্টেবল জখম হন। পুলিস জানিয়েছে, আহত সাব ইন্সপেক্টরদের নাম প্রণব মণ্ডল, উমাকান্ত মিশ্র। এঁদের মধ্যে উমাকান্ত মিশ্রকে প্রথমে কুলতলির জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় জালাবেরিয়া-১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান রুহিনা ঢালি সহ ১০ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার রশিদ মুনি খান বলেন, মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে খবর, কুলতলির জালাবেরিয়া-১ পঞ্চায়েতের ৭০ নম্বর বুথে ভোটের দিন সকালে বিজেপির এজেন্ট বসা নিয়ে ঝামেলার সুত্রপাত হয়। বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারি পুলিস ও কুইক রেসপন্স টিমের সাহায্যে বুথে এজেন্ট বসার ব্যবস্থা করেন। এই ঝামেলা আবার গড়ায় রবিবার বিকেলের দিকে। ভোটারদের প্রভাবিত করছে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা, এই অভিযোগ পেয়ে কুলতলি থানার পুলিস ও কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূল কর্মী ইব্রাহিম শেখকে আটক করে ভোট কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও জালাবেরিয়া-১ পঞ্চায়েতের প্রধান অসীম হালদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ছিলাম না ঘটনাস্থলে। কী হয়েছে, জানি না।