যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বিধানসভা নির্বাচনে ইসলামপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এবার উপনির্বাচনে ভোটের ট্রেন্ড ইঙ্গিত দিচ্ছে আসনটি পুনর্দখল করা কংগ্রেসের পক্ষে অনিশ্চিত। বিজেপির ভোট বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। সিপিএম কিছু পকেটে ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী দাবি করছেন, জয়ের ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। কংগ্রেস প্রার্থী ফল নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না। সিপিএম দাবি করেছে তাদের পক্ষে ভালো ভোট হয়েছে।
করিম সাহেব বলেন, প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ভোট পোল হয়েছে। এরমধ্যে আমি নিজে এক লক্ষ ভোট পাব। বিরোধীদের চাইতে কয়েক গুণ বেশি ভোট পাব। বিপুল ভোটে জয়ী হচ্ছি। প্রাক্তন বিধায়ক তথা লোকসভার প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হিসেব বলছে, করিম সাহেব অন্তত ৬০ হাজার ভোটে জয়ী হবেন। বিজেপি প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল বলেন, ভোট খুবই ভালো হয়েছে। আমি জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত। কংগ্রেস প্রার্থী মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, এবার কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তিনমুখী লড়াই হয়েছে। তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, আমাদের প্রার্থীকে মানুষ বিপুল পরিমাণে ভোট দিয়েছে। জয় আমাদের হবে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে করিম চৌধুরী তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন। সেবার কংগ্রেস পেয়েছিল ৬৫ হাজার ৫৫৯টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ৫৭ হাজার ৮৪১টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল ১৮ হাজার ৬৮৮টি ভোট পান। বাম সমর্থিত জেডিইউ প্রার্থী ১৫২১টি ভোট পান।
এবার উপনির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লক্ষ ৩ হাজার ৮৮৯ জন। ভোট পড়েছে ৭১.৬০ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, গত নির্বাচনে করিম ও কানাইয়া এক অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এবার তাঁরা দু’জনে একই দলে। তাঁরা এক হয়ে ভোটও করিয়েছেন। গত নির্বাচনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোট এবার করিম সাহেবের ঝোলায় যাওয়ার কথা। কিন্তু আরেক পক্ষ বলছে, রাজনৈতিক হিসেব সরল পাটিগণিত নয়। ভোট যেমন প্রার্থী দেখে হয় তেমন প্রতীকও ফ্যাক্টর হয়। সঙ্গে থাকে সাম্প্রতিক ইস্যু। ভোটের হাওয়া বলেও একটা কথা রাজনৈতিক মহলে বহুল প্রচলিত। এসব হিসেব করলে অঙ্ক পালটে যেতে পারে।
তবে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের পর্যবেক্ষণ, কানাইয়া তৃণমূলে যাওয়ায় কংগ্রেসে বড় ভাঙন আসে। কংগ্রেস ক্রমাগত শক্তি হারিয়েছে। পরিবর্তনের হাওয়ার দাপটে নুইয়ে পড়া সিপিএম এখনও সেভাবে উঠে দাঁড়াতে পারেনি। গত লোকসভায় সিপিএম এখানে জিতেছিল অন্য অঙ্কে। তুলনায় বিজেপি এখানে সংগঠন বিস্তার করতে পেরেছে। কয়েক হাজার নতুন ভোটারের একাংশকে মোদির হাওয়ায় ভাসতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি’র ভোট বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর বিজেপিকে সংগঠিত হতে দেখে শাসকদল ভোট এক জায়গায় আনার জন্য আদাজল খেয়ে নামে। বিজেপি বিরোধী শক্তিও এককাট্টা হয়ে যায়। আবার করিম চৌধুরীর দীর্ঘ তিন বছর সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকার ফলে তাঁর নেগেটিভ-পজিটিভ দুই ফ্যাক্টরই শেষ বিচারে করিমের পক্ষে যায়। এসব অঙ্কে তৃণমূল অ্যাডভান্টেজে থাকছে।