যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ জয়ের পর ফেরার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দুই বাঙালি পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং রমেশ রায়। তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। তারপর শেরপার দল তাঁদের উদ্ধার করে ক্যাম্প-২’তে নামিয়ে আনে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে কাঠমাণ্ডুতে নামিয়ে আনা হয়। সেখানে দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সোমবার কলকাতায় ফিরে আসেন দুই পর্বতারোহী। রমেশ রায় জানিয়েছেন, তাঁর হাতের ছয়-সাতটি আঙুলে তুষারক্ষত হয়েছে। রুদ্রর হাতের তিনটি আঙুল এবং পায়ের দুটি আঙুলে তুষারক্ষত হয়েছে। রমেশবাবু জানান, পাহাড়চূড়ার একেবারে শেষ ধাপে ৩০ ঘণ্টা প্রায় জল না খেয়ে থাকার জন্যই তাঁর ডি-হাইড্রেশন হয়ে গিয়েছিল। তাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কলকাতায় ফিরে আসার পর এবার দু’জনেই সেই ক্ষতের চিকিৎসা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, সকলেই একসঙ্গে গিয়েছিলাম। একসঙ্গেই অনুশীলন করেছি। তখন কখনও মনে খারাপ চিন্তা আসেনি। তবে রমেশবাবু জানিয়েছেন, পাহাড় চূড়ায় যে কোনও সময় যে কোনও বিপর্যয় ঘটতেই পারে। তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হয়। কিন্তু, এভাবে দুই সহযাত্রীকে ফেলে আসতে হবে ভাবিনি। বন্ধুদের হারানোয় নিজেদের শৃঙ্গ জয়ের আনন্দ একেবারে ম্লান হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, আরও দুই বাঙালি পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার এবং বিপ্লব বৈদ্যর দেহ রবিবার কাঠমাণ্ডুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। দীর্ঘ সময় পাহাড় চূড়ায় থাকায়, তাঁদের দেহ একেবারে শক্ত হয়ে গিয়েছে। দেহ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার বা শনিবার তাঁদের দেহ কলকাতায় আনা হবে। অন্যদিকে, মাকালু অভিযানে নিখোঁজ পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার তাঁকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার ফের খোঁজ চালানো হবে হবে বলে এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।