যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিরাত রাত থেকে মহম্মদ মহিনুর হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এলাকার লোকজন অনেক খোঁজ করেন। খোঁজ করতে গিয়ে রবিবার স্থানীয় একটি পুকুরে তাঁর বস্তাবন্দি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারপরই এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই দম্পতি খুন করেছে এই অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিস ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ইমান আলি ও রূপা বিবি জেরায় জানিয়েছে, শনিবার বিকেলের দিকে তারা খুন করে। মহম্মদ মহিনুর হোসেন ওইদিন বিকেলে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় ইমান ছিল না। কিছুক্ষণ পর ইমান এসেই তাকে মারধর করে। তারপর রূপার সহযোগিতায় সে মহিনুরকে শ্বাসরোধ করে খুন করে।
ধৃতরা পুলিসকে আরও জানিয়েছে, যেহেতু মহিনুর স্থানীয় যুবক তাই মৃতদেহ লোপাট করার জন্য তারা তার দেহ একটি বস্তায় ভরে। দড়ি দিয়ে তার হাত ও পা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পুকুর থেকে মৃতদেহ যাতে ভেসে না উঠে তার জন্য বস্তার ভিতর অনেক ইট ভরা হয়েছিল। শনিবার রাতে সুযোগ বুঝে ওই বস্তাবন্দি মৃতদেহ স্থানীয় একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ওই দম্পতিকে ভেবেছিল, স্থানীয়রা মৃতদেহ খুঁজে পাবে না। তাই তারা ধরাও পড়বে না। এক পুলিস অফিসার বলেন, ধৃতরা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃত ইমান দাবি করেছে, তার স্ত্রী রূপার সঙ্গে মহিনুরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার জন্যই মহিনুরকে তারা খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।