যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের দিন রবিবার বিজেপির লোকজন দু’জন মহিলাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেছিল। তা নিয়ে সংঘর্ষও বাঁধে। পরে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে বিজেপির লোকজন বাইরে থেকে লোক এনে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হুমকি দেয়। সোমবার সকালে দু’জন তৃণমূলকর্মীকে রাস্তা উপর ফেলে মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দু’জনকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের একটি বাইকও ভাঙচুর করে বিজেপির লোকজন। এই খবর পেয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের হাবড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অজিত সাহা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। ফুলতলার কাছে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে এক ব্যক্তি হাত তুলে তাঁর গাড়ি থামায়। অভিযোগ, গাড়ি থামতেই বিজেপির লোকজন লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তাঁর গাড়ির উপর সজোরে বাড়ি মারতে থাকে। গাড়ির পিছনের কাঁচ ভেঙে যায়। গাড়ির ভিতরে তাঁর দু’জন নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে অজিত সাহা বলেন, ভোট শান্তিতে হয়েছে। কিন্তু বিজেপি পরাজয় নিশ্চিত বুঝে পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা করল। কোনওরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। আমরা বিজেপির প্রায় ৩০ জনের নামে হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাইলে পাল্টা দিতে পারতাম। কিন্তু, আমরা চাই পুলিস আইন-অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।
অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ভোটের দিন তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মারধর করেছিল। আজ যে হামলা হয়েছে তার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে অশোকনগরের বামনডাঙা ও কোয়েকঘাটি এলাকায় ফাঁকা মাঠে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তাতে আতঙ্ক ছড়ায়। পাশাপাশি, রবিবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার খুলনা এলাকায় বিজেপির এক পোলিং এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।