নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: পথ নিরাপত্তা নিয়ে গালভরা কথা, অথচ জেলা পুলিসের শীর্ষ কর্তাই ঘুরছেন ইন্সুরেন্স, পলিউশন ‘ফেল’ গাড়ি নিয়ে। যা নিয়ে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে। প্রশাসনিক মহলেও চর্চা হচ্ছে। অঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) সোনম লেপচা বিষয়টি জেনে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার ময়দানে নামেন খোদ দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের বাইরে সমতলে জেলার বাকি অংশে পরিদর্শন করেন তিনি। অথচ নিজে যে গাড়ি ব্যবহার করছেন সেটির নথিপত্র ঠিক আছে কি না, তা জানেন না তিনি। এসপি’র ব্যবহৃত (ডব্লুবি ৭৪এএল ৪৪৪৬) সাদা রঙের গাড়ির ইন্সুরেন্সের মেয়াদ গতবছরের জুন মাসেই ফুরিয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে পিইউসিসি’র। অথচ পুলিস রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকলেই জরিমানা আদায় করছে। চালককে স্পট ফাইন দিতে বাধ্য করছে। অভিযোগ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিসকে টাকা দিয়ে ‘সেটিং’ করতে হচ্ছে।
পুলিসের শীর্ষ কর্তার ব্যবহৃত গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকার বিষয়টি সামনে আসায় বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে। শুধু যে এসপি’র ব্যবহৃত গাড়ির নথিপত্র ঠিকঠাক নেই এমনটা নয়, পুলিসের বিভিন্ন স্তরের অফিসারদের গাড়ির এমন দশা বলে অভিযোগ। চারচাকা গাড়ি, স্কুটার-বাইকের সামনে ‘পুলিস’ লিখে ঘুরছেন অনেকে। ট্রাফিক পুলিসও এসব আর দেখেন না।
শিলিগুড়ি মহকুমায় জেলা পুলিসের অধীনে তিনটি থানা, চারটি ফাঁড়ি আছে। তিনটি থানায় রয়েছে আলাদা করে ট্রাফিক বিভাগও। পুলিসের ব্যবহৃত প্রতিটি গাড়ির নথিপত্র পরীক্ষা করার দাবি উঠেছে। এদিকে, এসপি’র গাড়ির নথিপত্রের এমন দশা নিয়ে খোদ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরটিও। তিনি বলেন, ওই ধরনের গাড়ি সরকারি কাজে ব্যবহার করা যায় না। নথিপত্র আপডেট করার পর ব্যবহার করা উচিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এনিয়ে অবশ্য পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যাচাই করে দেখে ব্যবস্থা নেব।
এই সাদা গাড়িই ব্যবহার করেন দার্জিলিংয়ের এসপি। - নিজস্ব চিত্র।