সংবাদদাতা, পতিরাম: বাড়ির দরজা ও আলমারি ভেঙে এক লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়ির মহিলা রেলকে জমি দিয়ে টাকা পেয়েছিলেন। তারই এক লক্ষ টাকা আলমারিতে রেখেছিলেন। এদিকে বাড়ির একাংশ ভাঙা পড়ায় পাশেই আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন মহিলা জয়ন্তী সরকার। বুধবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এদিকে পাশেই জয়ন্তীদেবী সহ ওই বাড়ির সদস্যরা যাতে বের হতে না পারেন, সেজন্য দুষ্কৃতীরা বাড়ির গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ামারি পর্ষদের মাঠ এলাকায়। একই রাতে ওই ওয়ার্ডেরই বগুড়া কলোনিতে এক নবদম্পতির বাড়ির গেট ও ঘরের আলমারি ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা চুরি করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একই ওয়ার্ডে পরপর দুই বাড়িতে চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। 
বালুরঘাট সদর ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) বিক্রম প্রসাদ বলেন, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ময়ামারি পর্ষদের মাঠ সংলগ্ন স্থান দিয়েই বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। তাই সেখানে এলাকার অনেকেরই জমি পড়েছে। তাঁদের একজন জয়ন্তী সরকার। তিনি ওই রেলের টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেয়েছেন। এদিকে বাড়ির একাংশ রেলকে দেওয়ায় ভাঙাভাঙির কাজ চলছে। নির্মাণ শ্রমিকরা বাড়িতে কাজ করছেন। তাই সেই টাকার একাংশ বাড়ির আলমারিতে রেখেই বুধবার রাতে পাশেই আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। সকালে উঠে তিনি দেখেন ওই বাড়ির গেট গামছা দিয়ে বাঁধা। পরে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের বাড়িতে যেতেই সব লণ্ডভণ্ড অবস্থা দেখতে পান। বাড়ির দরজা ও জানালার আলমারি ভেঙে সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড করে সোনা ও টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। 
অন্যদিকে, একই ওয়ার্ডের বগুড়া কলোনিতে চুরি হয়েছে। নবদম্পতি মানিক দাস ও জয়া মালিক (দাস) বুধবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে দুই ভরি সোনার গয়না এবং ১২ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়েছে। ওই বাড়িতে ও দরজা ও তালা ভেঙে চুরি করেছে। এবিষয়ে নববধূ জয়া মালিক বলেন, আমার দু’মাস হল বিয়ে হয়েছে। আমার সমস্ত সোনার গয়না শ্বশুরবাড়িতে রেখেই বাপের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চুরি করেছে।