বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য

বাতিল হবে ‘হু’র গ্রোথ স্ট্যান্ডার্ড, শিশুর বৃদ্ধির দেশীয় মাপকাঠি চালু তিন বছরেই

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: শিশুদের পুষ্টি এবং বৃদ্ধি নিয়ে এবার সারা ভারতের তথ্যপঞ্জি নিয়ে ইন্ডিয়ান গ্রোথ স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিকশিত ভারত অভিযানের অন্তর্গত ‘উন্নতি’ প্রকল্পে ছ’টি অঞ্চলে ভাগ করেছে নিয়ামক সংস্থা আইসিএমআর। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ছাড়াও রয়েছে উত্তর-পূর্ব এবং মধ্য ভারত। পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ বাংলা ছাড়াও ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ডের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরের দায়িত্ব পেয়েছেন পুরুলিয়ার সিধো-কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সমীরণ বিষয়ী। তিনি দেশ থেকে রয়্যাল সোসাইটি অব অ্যানথ্রোপলজির একমাত্র ফেলোও বটে।
প্রতিটি আঞ্চলিক কেন্দ্রকেই একই হারে অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। পুরুলিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড ট্রাইবাল স্টাডিজ বিভাগের অন্তর্গত পাবলিক হেলথ সেন্টারটি এই সমীক্ষার জন্য পাচ্ছে ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। 
সমীরণবাবু জানাচ্ছেন, পুরোপুরি সুস্থ প্রসূতিদের চিহ্নিত করা হবে আগে থেকে। মোটামুটি গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ থেকেই প্রসূতিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। শিশুর জন্মের পর থেকে দু’মাস বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক সপ্তাহে তাদের ওজন, উচ্চতা, মাথার পরিধি, বাহুর নির্দিষ্ট অংশের দৈর্ঘ্য এবং পরিধি পরিমাপ করা হবে। তিনমাস বয়স থেকে দু’বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে এই মাপ নেওয়া হবে। তারপর এই তথ্য যাবে দিল্লিতে, আইসিএমআর ল্যাবে। সেখানে বিশ্লেষণের পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। এখান থেকে রিপোর্ট পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২৮ সালের জুন।
সমীরণবাবু জানাচ্ছেন, পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৫০০ শিশুকে প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। শুধু সুস্থ প্রসূতি মা খুঁজতেই এবছর কেটে যাবে। কোনওরকম লাইফ স্টাইল ডিজিজ যেমন ব্লাড প্রেশার, সুগার, থাইরয়েড প্রভৃতি থাকলে বা হিমোগ্লোবিন কম থাকলে, প্রথম থেকেই পুষ্টির অভাব থাকলে প্রসূতিদের বাদ দেওয়া হবে। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। এই দলে রয়েছেন সমীরণবাবুর এক সহকর্মী অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সদরুদ্দিন বিশ্বাস। এছাড়া পুরুলিয়ার এক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও রয়েছেন।
মূলত পুরুলিয়া শহরের মায়েদের মধ্যেই এই সমীক্ষা হবে। তবে, জোর দেওয়া হবে বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারে এমন আর্থিক অবস্থার পরিবারকে। খুব ধনী নয় আবার একেবারে হতদরিদ্র নয়, এমন পরিবারই লক্ষ্য। তবে, কোনও নির্দিষ্ট জনজাতি বা আয়ের মাপকাঠি ধরে সমীক্ষা হবে না। যে বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে, সেটি হল শিশুর ওজন। আড়াই কেজি বা তার অল্প বেশি হলেই সমীক্ষায় শামিল করা হবে তাদের।
জানা যাচ্ছে, ১৯৭৭ সালে উত্তর ভারতের শিশুদের নমুনা নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছিল আইসিএমআর। সেটি তামাদি হয়ে গিয়েছে। ২০০৬ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) একটি স্ট্যান্ডার্ড দিয়েছিল। তাতেও নমুনা সংগ্রহ করা হয় দিল্লির ধনী এলাকার শিশুদের থেকে। সেই কারণে হু’র তৈরি ভারতীয় মাপকাঠি অনেকটাই উঁচু হয়ে রয়েছে। তবে, দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে নমুনা নিয়ে মাপকাঠি তৈরি হলে তা অনেকটা বাস্তবসম্মত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষুধা ও পুষ্টির সূচকে দেশের ফলও উন্নত হবে। কারণ, অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতীয় শিশুদের বৃদ্ধি কম। আবার পূর্বভারতে তা আরও কম। তবে, এগুলি স্বাভাবিক। এতদিন আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে এগুলি অপুষ্টির আওতায় পড়ে যাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, এর পরে ৩ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাপকাঠি তৈরি হবে। তাদের মাপ নেওয়া হবে বিভিন্ন স্কুল থেকে। 
1d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৭ টাকা ১১১.১৪ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৮ টাকা ৯২.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা