রাজ্য

ডাক্তারদের ‘গণ ইস্তফা’ শুধু গণমাধ্যমে! কিছুই জানে না রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। মঙ্গলবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে আর জি করের ৪০ জনের বেশি সিনিয়র চিকিৎসকের ‘গণ ইস্তফা’ সেরকমই একটি ঘটনা। তবে এনিয়ে তুমুল তোলপাড় চললেও দিনের শেষে জানা গেল, সম্পূর্ণ বিষয়টিই ভিত্তিহীন। কারণ, খবরের চ্যানেল থেকে শুরু করে সমাজ মাধ্যমে ‘গণ ইস্তফা’র খবর ছড়ালেও রাজ্য প্রশাসনের কাছে সরকারিভাবে এ সংক্রান্ত কোনও চিঠি বা ইস্তফাপত্র জমা পড়েনি। এমনকী, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছেও এ সংক্রান্ত কোনও মেল আসেনি। তাই স্বাভাবিকভাবে রাজ্য সরকারের তরফে এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করারও প্রয়োজন পড়েনি বলে জানাচ্ছেন পদস্থ কর্তারা। 
রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের বক্তব্য, এভাবে গণ ইস্তফা দেওয়া যায় না। ইস্তফা দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা নিয়ম আছে। তা না করে একটি কাগজে সবাই স্বাক্ষর করে দিলেন আর ইস্তফা দেওয়া হয়ে গেল, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘আমরা যা জেনেছি বা শুনেছি, সবটাই মিডিয়া থেকে। এর বাইরে হাসপাতালের অধ্যক্ষ, স্বাস্থ্যভবন বা নবান্ন— কোথাও এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি জমা পড়েনি।’
এই আবহে ‘গণ ইস্তফা’ ইস্যুতে সিনিয়র ডাক্তারদের তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসক দল। বিনা নোটিসে যেভাবে দায়িত্বশীল ডাক্তারবাবুরা ইস্তফা দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন, তাতে পিছনের রাজনীতিই স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি তাদের। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই চিকিৎসকরা কি দায়ী থাকবেন? সরকারি পরিষেবা বেহাল করে বেসরকারি হাসপাতালের চেম্বারে বসে রোগী দেখা বন্ধ করছেন না কোন স্বার্থে? আসলে এই সিনিয়র চিকিৎসকরাই জুনিয়রদের উস্কানি ও মদত দিচ্ছেন। তাই তাঁদের রেজস্ট্রেশন খারিজ করার দাবিও তুলেছেন তিনি।  
এদিকে, দিনরাত স্বাস্থ্য প্রশাসনের মুণ্ডপাত করলেও এদিন আর জি করের অধ্যক্ষ ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের গলায়। তাঁদের ব্যাখ্যা, ‘থ্রেট কালচারের’ বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পদক্ষেপ ইতিবাচক। তাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও কাজ করতে করতেই প্রতীকী অনশন করেন। মিছিলও বার করেন তাঁরা।  এসবের মধ্যেই সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে সবরকম পদক্ষেপ করছে রাজ্য। কলকাতা সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, পুজোর সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পন্থ।
2Months ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা