কলকাতা

প্রাকৃতিক নিয়মেই কমবে পৃথিবীর উষ্ণায়ন,  বঙ্গের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আশার আলো

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিশ্ব উষ্ণায়নের করাল থাবাকে প্রাকৃতিক নিয়মেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে আমাদের পৃথিবী। বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি হলেই তা সম্ভব। কার্বন ডাই অক্সাইড সহ অন্যান্য গ্রিন হাউজ গ্যাসের কারণে উষ্ণতা বাড়লে তার প্রভাবে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বৃষ্টি বাড়লে উষ্ণতা নেমে আসে। এমনটাই ঘটেছে কয়েক কোটি বছর আগে। গুজরাতের বাস্তান অঞ্চলে হিমালয়ের চেয়েও প্রাচীন বৃষ্টি-অরণ্যের (রেন ফরেস্ট) জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন খড়্গপুর আইআইটি এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা বিজ্ঞানীরা।
৫ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগের ওই রেইন ফরেস্টের জীবাশ্মের আইসোটোপ পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। জীবাশ্মগুলি ক্যাওলিনাইট আকারে ওই অঞ্চলের উপহ্রদে পলির সঙ্গে মিশেছিল। বাস্তান অঞ্চলের সেই অরণ্যে ছিল আজকের তাল, মেহগনির মতো গাছও। ওই সময় উষ্ণতা কেমন ছিল, তা উদ্ভিদ এবং প্রাণী জীবাশ্মের বিশেষ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে বোঝা সম্ভব। তাতেই দেখা গিয়েছে, সেই সময় কোনও কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। সেই পরিমাণ ছিল প্রায় আজকের মতোই। ফলে গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গিয়েছিল তখন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এরপরও প্রাচীন ওই বৃষ্টি অরণ্যের কোনও ক্ষতি হয়নি। উল্টে সেটি আড়েবহরে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমৃদ্ধ হয়েছে সেই বনাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যও। এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বৃষ্টিও বেড়েছিল। সেই জন্যই বৃষ্টি অরণ্য এবং সেখানে বসবাসকারী জীবকুলের বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। জঙ্গল বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই অঞ্চলের গড় উষ্ণতাও কমতে শুরু করে। একসময় তা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে চলে আসে, যা বর্তমান গড় তাপমাত্রার আশপাশেই। বিজ্ঞানীদের দাবি, পশ্চিমঘাটের বৃষ্টি অরণ্য পর্যবেক্ষণ করলেও একই তথ্য মিলবে। এই গবেষণার অন্যতম গবেষক তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুবীর বেরা বলেন, ‘উষ্ণতা বাড়লে যে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি হতে পারে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের পরীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে। ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়লেও রেইন ফরেস্টের খুব বেশি ক্ষতি হবে না, বলাই যায়। তবে এত প্রাচীন উদ্ভিদকুলের সঙ্গে বর্তমান গাছগাছালির ফারাক রয়েছে। তাছাড়া, রেইন ফরেস্ট ছাড়া অন্য বনাঞ্চলের সমৃদ্ধি বা বৃদ্ধি কেমন হবে বা কতটা হবে, তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে আধুনির সভ্যতার বিস্তারের ফলে নতুন ধরনের একাধিক গ্রিন হাউজ গ্যাস যেমন বায়ুমণ্ডলে রয়েছে, তেমনই এর পরিমাণও বেড়েছে। অরণ্য বিস্তারের জায়গাও কম। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে সেই অর্থে আদর্শ রেইন ফরেস্ট নেই। তাই ডুয়ার্সের দিকের কিছু জঙ্গলে এই তত্ত্ব আংশিকভাবে কাজ করলেও বাকি জায়গার অরণ্য বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে কেমন আচরণ করবে, তা জানতে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।
খড়্গপুর আইআইটির গবেষক অনিন্দ্য সরকারের নেতৃত্বে সুবীরবাবু ছাড়াও কানাডার ওয়েস্ট অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসোটোপ বিশেষজ্ঞ মেলিন্ডা কে বেরাও ছিলেন এই গবেষণায়। বিখ্যাত ‘এল সেভিয়াল জার্নাল গ্লোবাল অ্যান্ড প্ল্যানেটারি চেঞ্জ’ পত্রিকায় সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
2h 2m ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৬৭ টাকা৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৫ টাকা১০৮.২৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৯ টাকা৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
23rd     November,   2024
দিন পঞ্জিকা