নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও বহু জায়গায় এখনও খোলা হয়নি দুর্গাপুজোকে ঘিরে লাগানো অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের বোর্ড। এ ব্যাপারে কলকাতা পুরসভা আর আবেদন-নিবেদনের পথে হাঁটতে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছ’শোর বেশি অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং, ব্যানার খুলে ফেলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করায় ২৫টি বিজ্ঞাপন এজেন্সিকে বিজ্ঞাপন ফি’র তিনগুণ জরিমানা করেছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই তাদের জরিমানার চিঠি পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে অভিযুক্ত অন্যান্য এজেন্সিকেও চিঠি পাঠানো হবে বলে খবর। সেই সঙ্গে অস্থায়ী বিজ্ঞাপন খুলে ফেলতে টানা অভিযান চালাবে পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ।
দুর্গাপুজোর পর লক্ষ্মীপুজোও চলে গিয়েছে। এখনও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছে পুজোকালীন বহু অস্থায়ী বিজ্ঞাপন। এবার পুজোর শুরুতে এজেন্সিগুলিকে নোটিস পাঠিয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল, দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার দিন দশের মধ্যেই সমস্ত বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং-ব্যানার খুলে ফেলতে হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক সংস্থা সেগুলি খুলেও ফেলেছে। কিন্তু, বারবার বলেও যারা খোলেনি, সেই সব সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, খুলে ফেলা হচ্ছে সেই সব বিজ্ঞাপন। বিভাগীয় সূত্রে খবর, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উল্টোডাঙা, ই এম বাইপাস, এক্সাইড থেকে টালিগঞ্জ মেট্রো পর্যন্ত রাস্তার দু’দিক, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, হাতিবাগান, রুবি থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬০০টিরও বেশি হোর্ডিং-ব্যানার খোলা হয়েছে। এক বিভাগীয় কর্তা বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে কাজ হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে দু’টি করে টিম কাজ করছে। তবে, ঝড়ের কারণে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আপাতত এগুলি খোলার কাজ বন্ধ থাকবে।’ বহু জায়গায় রাস্তার ধারে বাঁশের কাঠামোয় লাগানো বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছেন পুরকর্মীরা। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, যারা কথা শোনেনি, সেই সব সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুরকর্মীরা যখন সেগুলি খুলে ফেলছেন, তার ছবি তোলা হয়েছে। তারপর প্রমাণ সহ জরিমানার চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে। মোটামুটি এক-একটি সংস্থাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে।