দক্ষিণবঙ্গ

নৃসিংহপুরের ৫২ হাতের পৌষকালীর পুজো ঘিরে একাত্ম হয়ে ওঠেন তিন জেলার বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: পৌষ সংক্রান্তির কালীপুজোকে ঘিরে একাত্ম হয়ে ওঠেন তিন জেলার বাসিন্দারা। একদিকে ভাগীরথীর পারে পুণ্যস্নান, অন্যদিকে পৌষ কালীর পুজো চাক্ষুষ করতে শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে ভিড় করেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী। পুজোকে ঘিরে ১০দিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। নৃসিংহপুরের ৫২ হাতের কালীকে ঘিরে রয়েছে এক অন্য ইতিহাস।
জানা গিয়েছে, এই পুজোর বয়স ৪৬ বছর। ১৯৭৭ সাল নাগাদ নৃসিংহপুরের জনা দশেক ব্যবসায়ী প্রথম পৌষকালীর পুজো শুরু করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কৃষ্ণকান্ত মণ্ডল, মহাদেব মণ্ডল, মহাদেব সরকার, রমেশ মণ্ডলরা। প্রত্যেকেই ভিন্নভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্বপ্নাদেশে পাওয়া পৌষকালীকে তাঁরা মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে ফেরিঘাটের পাশে পুজো শুরু করেন। সেই সময় প্রতিমার উচ্চতা ছিল ২১ হাত। পুজো কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, একবার ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পুজো চলাকালীন ভেঙে পড়েছিল মায়ের মূর্তি। এরপর সেখানেই একটি তালগাছের নীচে মাকে এনে পুজো শুরু হয়। কমিটির সদস্যদের কথায়, সেবার ঠিক হয়েছিল তাল গাছটির উচ্চতার সমান হবে মায়ের মূর্তির উচ্চতা। তালগাছটিকে মেপে দেখা যায় সেটির উচ্চতা প্রায় ৫২ হাতের সমান। এরপর থেকেই ৫২ হাত উঁচু পৌষ কালীর মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর পুজো হয়ে আসছে। তাই এই নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে পৌষকালী পরিচিতি পেয়েছে ৫২ হাতের কালী নামেও। পৌষ সংক্রান্তির একমাস আগে থেকে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। বর্তমান পুজো কমিটির সভাপতি দ্বিজেন মণ্ডল, সম্পাদক বিশ্বজিৎ সরকার, সদস্য অমল রায়, বিশু চক্রবর্তীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ব্যবসার যাবতীয় কাজ সামলে দেখভাল করতে হচ্ছে পুজো এবং মেলার আয়োজন। প্রতিদিনই নৃসিংহপুর ফেরিঘাট দিয়ে ওপারের পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং এপারে শান্তিপুরের মাঝে কয়েক হাজার যাত্রী চলাচল করেন। শান্তিপুরের অন্য একটি ঘাট দিয়ে হুগলির বলাগড়ের সঙ্গেও ফেরি যোগাযোগ রয়েছে। নৃসিংহপুরের পৌষ কালীর পুজোকে ঘিরে তিন জেলার সাধারণ মানুষের ভিড় এসময় কয়েকগুণ বাড়ে। মকর সংক্রান্তির স্নান এবং পৌষকালীর পুজোকে ঘিরে ভাগীরথীর পাড়ে ১০দিনের মেলায় একেকদিনে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ আসেন। মেলার ভিড় দেখলে ছোটখাট গঙ্গাসাগর বলে মনে হবে বলে জানালেন পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎবাবু। 
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথায়, পৌষ মাসের কনকনে ঠান্ডায় পৌষ কালী প্রতিবছর তাঁদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি বয়ে আনেন। বছরের একমাত্র এইসময় ফেরিঘাটকে কেন্দ্র করে বসা মেলায় লাভের মুখ দেখেন ব্যবসায়ীরা। 
সোমবার সকালে কালনা থেকে পরিবার নিয়ে নৃসিংহপুর ঘাটে এসেছিলেন দেবরূপ চক্রবর্তী। বলেন, মকর সংক্রান্তির দিন পৌষ কালীর দর্শন করতে প্রতিবছর এখানে আসি। পাশাপাশি এই মেলায় বসা পিঠেপুলিরও এক আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। 
 শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাটে বাহান্ন হাতের পৌষকালী পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। -নিজস্ব চিত্র
11Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৭৩ টাকা৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৭ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
28th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা